এখন লেডিস হস্টেল এটি। এই হস্টেলে সমস্ত কর্মীরাই মহিলা। কিন্তু অভিযোগ, হস্টেলের ওয়ার্ডেন মহিলা কয়েকদিন আগে বিয়ে করেন। তারপর থেকে তাঁর স্বামী মাঝেমধ্যেই এই হোস্টেলে এসে থাকতেন। এমনকি মিশনকে না জানিয়েই থাকতেন তিনি। বেশ কয়েক দিন আগে ওয়ার্ডেনের স্বামী প্রথমে এক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ করেন। পরে আরও তিন ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ করেন। এখন প্রতি রবিবার-ই অভিভাবকরা ছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। গতকাল যখন অভিভাবকরা ছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন, তখন ওই ছাত্রীরা তাদের অভিভাবকদের পুরো বিষয়টি জানায়।
তারপর তাঁদের কাছ থেকে এই ঘটনার কথা হস্টেলে বাকি সমস্ত ছাত্রীর অভিভাবকরা জানতে পারেন। এরপরই রবিবার সন্ধেয় একে একে তাঁরা হস্টেলের গেটের সামনে আসেন। হস্টেল থেকে নিজেদের মেয়েদের নিয়ে যেতে চান তাঁরা। পরবর্তীতে তাঁরা হরিদেবপুর থানায় গিয়ে পুরো বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ জানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে ওই মহিলা ওয়ার্ডেন, তাঁর স্বামী ও একজন স্যারকে গ্রেফতার করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিস। সেইসঙ্গে ৪ অভিযোগকারী ছাত্রী সহ আরও দুই ছাত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।