কলকাতায় সেমি কন্ডাক্টর প্ল্যান্ট নির্মাণে রাজ্যের ভূমিকা কী? ব্যাখ্যা মুখ্যমন্ত্রীর
এই সময় | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কলকাতায় তৈরি হতে চলেছে সেমি কন্ডাক্টর প্ল্যান্ট। আমেরিকা সফরে গিয়ে কলকাতায় সেমি কন্ডাক্টর প্ল্যান্ট তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারত-আমেরিকার যৌথ উদ্যোগে এই প্ল্যান্ট নির্মাণ হলে রাজ্যে কর্মসংস্থানের পথ প্রশস্ত হবে। কী ভাবে এই মার্কিন বিনিয়োগ কলকাতায় এল? নিজের ফেসবুক পোস্টে বিস্তারিত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মুখ্যমন্ত্রী একটি বিবৃতিতে লেখেন, ‘সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে আমাদের রাজ্যে বৃহৎ আমেরিকান বিনিয়োগের দুর্দান্ত খবরের পেছনে রয়েছে আমাদের দীর্ঘ এবং নিরলস পরিশ্রম।’ তাঁর দাবি, গত এক বছরে রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ এবং ওয়েবেল চিপ-ডিজাইনিং এবং প্যাকেজিং স্টার্টআপের জন্য শীর্ষস্থানীয় সেমি কন্ডাক্টর কোম্পানিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ, সিনপসিস, মাইক্রোন এবং আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠকে অংশ নিয়েছিল। তারা উন্নত প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে রাজ্যের ইউনিট এবং অফিস পরিদর্শন করেছে। তিনি বলেন, ‘চলতি বছরে গ্লোবাল ভিএলএসএল কনফারেন্স-এ সেমিকন্ডাক্টরের সমস্ত শীর্ষ স্থানীয় কোম্পানির অংশগ্রহণ করে। রাজ্যের সঙ্গে ক্রমাগত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতায় একটি গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার স্থাপনের জন্য উদ্যোগী হয়েছে গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ।’ কলকাতায় এই সেমিকন্ডাক্টর কারখানা তৈরির ক্ষেত্রে সমস্ত রকম সহযোগিতা করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কোয়াড সম্মেলনে যোগদান করতে তিনদিনের আমেরিকা সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেছেন তিনি। তাঁদের আলোচনায় উঠে আসে সেমি কন্ডাক্টর প্ল্যান্টের বিষয়েও। মূলত, জাতীয় নিরাপত্তা, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, পরিবেশ-বান্ধব শক্তি প্রয়োগের জন্য উন্নত সেন্সিং, যোগাযোগ এবং পাওয়ার ইলেকট্রনিক্সের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতেই সেমি কন্ডাক্টর প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশের মধ্যে এই প্ল্যান্ট হবে কলকাতায়।
উল্লেখ্য, কলকাতায় প্ল্যান্ট নির্মাণে কাজ করবে ‘ভারত সেমি’, ‘থার্ডআইটেক’ এবং ‘ইউএস স্পেস ফোর্স’ নামে তিনটি সংস্থা। ‘গ্লোবাল ফাউন্ডারিজ’ নামে নিউ ইয়র্কের একটি সংস্থা এই প্রকল্পে সহায়তা করবে। এই কারখানা নির্মাণ হলে একদিকে কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং অন্যদিকে দূষণমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে আরও একধাপ এগোবে ভারত।