আরজি কর কাণ্ডের রেশ ফুরোয়নি এখনও। তার মধ্য়েই সামনে এল ভয়াবহ ঘটনার কথা। নদিয়ার শান্তিপুরে সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ। বিজেপির এক স্থানীয় বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। মনোরঞ্জন হালদার নামে ওই বুথ সভাপতিকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এদিকে প্রবীণ বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার জেরে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। ওই বুথ সভাপতি ৭০ বছর বয়সি বলে খবর।
এদিকে এনিয়ে ওই পরিবারের তরফে অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ তদন্তে নামে। পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে তার বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ওই শিশুর বাড়িতে যান। তাঁরা এই ঘটনার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, শিশুরাও বিজেপি নেতার কাছে নিরাপদ নয়। তার কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে গোটা ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সাংগঠনিক রদবদল হয়নি। সেকারণে ওই ব্যক্তি পদে বসেছিলেন। তবে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় নন। সেই সঙ্গেই বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তদন্ত করা হোক। আইন আইনের পথে চলবে। এনিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই।
সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি যেখানে থাকেন তার পাশেই শিশুটির বাড়ি। আগে থেকেই শিশুটি মাঝেমধ্যেই ওই ব্যক্তির বাড়িতে যেত। এদিকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে ওই শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় ওই বাড়িতে কেউ ছিল না বলে দাবি করা হচ্ছে। এরপর ওই ব্যক্তি শিশুটিকে যৌন নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। এরপর শিশুটি বাড়িতে এসে কান্নাকাটি শুরু করে। এরপর শিশুটির পরিবার গোটা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করে। তারপর জানতে পারা যায় যে শিশুটি মনোরঞ্জনের বাড়িতে গিয়েছিল। তাকে লজেন্স দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল মনোরঞ্জন। এরপরই গোটা বিষয়টি আঁচ করে থানায় যায় পরিবার। এরপর ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এদিকে ঘটনার পরে তদন্তে নেমেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। গোটা ঘটনায় ওই বিজেপি নেতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এদিকে বিজেপির তরফ থেকেও আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে নদিয়ার শান্তিপুরের এই ঘটনা কার্যত চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে। তবে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে আইন আইনের পথে চলুক।