বাড়ির নকশা অনুমোদনের প্রথম সমীক্ষার বৈধতা থাকবে ৩ বছর, নির্দিষ্ট করল KMC
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সাধারণত কোনও বাড়ি তৈরি করতে গেলে পুরসভার কাছে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে হয় নাগরিককে। আর সেই আবেদন জমা পরার পরে কলকাতা পুরসভার তরফে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। পরে সেই সমীক্ষার রিপোর্ট জমা করা হয় পুরসভার সার্ভে দফতরে। এই রিপোর্টের নাম হল সার্ভে অবজারভেশন রিপোর্ট। তবে এই রিপোর্টের বৈধতা কতদিন থাকবে সে বিষয়টি আগে উল্লেখ ছিল না। যার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা হচ্ছিল। এবার সেই রিপোর্টের সময়সীমা উল্লেখ করে দিল। অর্থাৎ কতদিন পর্যন্ত এই রিপোর্টটি বৈধ থাকবে পুরসভা সেই বিষয়টি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই সময়সীমা পেরিয়ে গেলে পুনরায় সংশ্লিষ্ট নাগরিককে ফের নকশা অনুমোদনের জন্য পুরসভায় আবেদন করতে হবে।
সাধারণত বাড়ির নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন জানালেও অনেক নাগরিক জমি ফেলে রাখেন। দীর্ঘ সময় জমি ফেলে রাখার ফলে চরিত্র অনেকটাই বদলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে জমি জবরদখল হতে পারে অথবা জমি ঘিরে অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুর আধিকারিকদের মতে, এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হল জমি জবরদখলের।কারণ এই ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকা জমিতে বেশি দেখা দেয়। সে সহকারি হোক বা বেসরকারি, যেকোনও জমি পড়ে থাকলেই জবর দখলের প্রবণতা বেশি থাকে। তাই পুরসভার তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সমীক্ষার রিপোর্টের বৈধতা থাকবে তিন বছর পর্যন্ত। তারপরে এই রিপোর্টটি অবৈধ হয়ে যাবে। তখন আবার নতুন করে নাগরিককে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর আবার সেই জমির সমীক্ষা করা হবে। তবে সেই সমীক্ষা করা দ্রুততার সঙ্গে।
পুরসভা সূত্রের খবর, লাইসেন্সড বিল্ডিং সার্ভেয়রের জমির নকশার উপর ভিত্তি করে পুরসভার সার্ভে দফতরের তরফে রিপোর্টে জমা দেওয়া হয় থাকে। সেক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে, রিপোর্টটি জমির মালিকানা প্রমাণ নয়, অথবা জমির উপরে কোন নির্মাণ বা জমি ঘেরার অধিকার দেয় না। তবে প্রয়োজনে সেই রিপোর্ট বাতিল করতে পারে পুরসভা। অথবা ভুল তথ্য জমা দেওয়ার কারণে লাইসেন্সড বিল্ডিং সার্ভেয়রের লাইসেন্সও বাতিল করতে পারে।
সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জমি জবর দখল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তারপরেই কলকাতা থেকে শুরু করে রাজ্য জুড়ে অভিযান চালায় পুলিশ প্রশাসন। সে ইঅভিযান চালিয়ে একের পর এক সরকারি জমি পুনর্দখল করা হয়। একইসঙ্গে ফুটপাতে হকার উচ্ছেদও করা হয়।