সন্দীপ–অভিজিৎ কি সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করেছেন? তদন্তে আরও সক্রিয় সিবিআই
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার রেশ এখনও কেউ ভুলতে পারেননি। ওখানে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। যার জেরে তুমুল আন্দোলন হয়েছিল রাজ্য জুড়ে। সদ্য উঠেছে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি। আর এই আবহের মধ্যেই এবার পানিহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নির্মল ঘোষকে তলব করল সিবিআই। এই আবহে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের মূল রহস্য সিসিটিভি ফুটেজেই লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন সিবিআই অফিসাররা। কলকাতা পুলিশের কাছে যে সিসিটিভি ফুটেজ ছিল সেটা সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। তবে তাতে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিবাদ দেখা দিয়েছিল।
এদিকে আইএমএ’র কলকাতা শাখার সহ–সভাপতি পদত্যাগ করতেই আলোড়ন পড়ে যায়। তার মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের সিবিআই দফতরে উপস্থিতি নানা গুঞ্জন তৈরি করেছে। সিবিআইয়ের দাবি, গত ৯ অগস্ট ঘটনার দিনের এবং তার ১৫ দিন আগের ফুটেজও সঠিকভাবে সংরক্ষণ বা বিকৃত করা হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখবে তারা। সিসিটিভি ফুটেজ বিকৃতিতে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন সিবিআই অফিসাররা। এই দু’জনেই এখন সিবিআই হেফাজতে আছেন। তবে সন্দেহ হচ্ছে দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ থাকা নিয়ে।
অন্যদিকে রবিবারই কলকাতা আইএমএ শাখার বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা হয়েছিল। ইস্যু কিন্তু সেই আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা এবং নিষ্ক্রিয় ভূমিকা। এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে সিবিআই তলব অন্য মাত্রা যোগ করেছে। তার মধ্যে সিসিটিভির পুরনো ফুটেজ নতুন করে খতিয়ে দেখতে চাইছেন সিবিআই তদন্তকারীরা। এই ঘটনার দিনের ফুটেজে বেশ কয়েকজনের সন্দেহজনক গতিবিধি ধরা পড়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এই বিষয়ে অভিজিৎ এবং সন্দীপকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হচ্ছে।
আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষও আইএমএ’র কলকাতা শাখার সদস্য ছিলেন। এখন তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, ধর্ষণ–খুন করার ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে ও পরে ঘনঘন দু’জনের মোবাইলে ফোন এসেছিল। যাঁরা ফোন করেছিলেন, তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ঘটনার কয়েকদিন আগেও হাসপাতালে যাতায়াত করেন সন্দেহভাজনরা। দেখা করেন সন্দীপের সঙ্গেও। তবে কী কারণে সেটা অবশ্য পরিষ্কার নয়। জেরায় তাঁরা মুখ খুলতে চাননি। সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই এবং রাজ্যের পক্ষ থেকে দু’রকম ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।