• দুপুরের তীব্র গরমে দার্জিলিঙে হোটেলবন্দি পর্যটকরা, স্থানীয়রা ছুটছেন এসি কিনতে!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • দক্ষিণবঙ্গের প্যাচপ্যাচে গরম থেকে বাঁচতে যে পর্যটকেরা দার্জিলিঙে 'পালিয়ে' এসেছিলেন, এখন তাঁদের গলাতেই শোনা যাচ্ছে আক্ষেপের সুর। তাঁদের বক্তব্য, বেলা গড়াতেই দার্জিলিং শহরজুড়ে এমন গরমের দাপট শুরু হচ্ছে যে হোটেলের ঘর ছেড়ে বেরোতেই ইচ্ছা করছে না!

    অনুযোগের একই সুর শোনা যাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের গলাতেও। পাহাড়ের যে মানুষজন ছোট থেকে সিলিং ফ্যান ছাড়াই বড় হয়েছেন, সেপ্টেম্বরের শেষে তাঁরাও দোকানে ছুটছেন পাখা, এসি কিনতে!

    এমন ঘটনা আগে না ঘটলেও বর্তমানে যা ঘটছে, তাতে অবশ্য সবাই খুব একটা অবাক হচ্ছেন না। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, যে হারে বিশ্বজুড়ে উষ্ণায়নের দাপট বাড়ছে, তাতে সর্বত্রই গরম বাড়ছে। দার্জিলিং শহরও তার ব্যতিক্রম নয়।

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সময় যত গড়িয়েছে, দার্জিলিঙে পাহাড় কেটে বাড়ি, হোটেল বানানোর ধুম বেড়েছে। এতে শুধু পাহাড়ের ক্ষতি হয়নি, সবুজও ধ্বংস হয়েছে। আজ তারই খেসারত দিতে হচ্ছে বলে মত দার্জিলিংবাসীর।

    তবে, শুধু দার্জিলিং নয়। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলা যেমন কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন জায়গাতেও আগের তুলনায় গরমের দাপট বেড়েছে। এ নিয়ে বাসিন্দাদের ফেসবুকে হা, হুতাশ করতেও দেখা যাচ্ছে। তবে, পুজোর ছুটির মরশুম শুরু হওয়ার ঠিক আগে যেভাবে দার্জিলিং শহরের মানুষকে পাখা, এসি কিনতে হচ্ছে, তাতে অনেকেই প্রমাদ গুনছেন।

    আসলে দার্জিলিংয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের অধিকাংশই বাঙালি। তাঁদের একটা বড় অংশ দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দা। কম খরচে পাহাড় ঘুরতে এবং কিছুটা শীতের আমেজ নিতেই তাঁরা দার্জিলিং আসেন। এখন যদি পাহাড়ে এসেও তাঁদের গরমের হাত থেকে বাঁচতে দুপুরের রোদে হোটেলবন্দি থাকতে হয়, তাহলে আগামী দিনে পাহাড়ের পর্যটনে তার কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া যে পড়বে না, এমনটা জোর গলায় বলা যায় না।

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, সিকিমের হাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণ হল - গত শতাব্দীর ন'য়ের দশকের পর এই সেপ্টেম্বর মাসে পাহাড়ে কখনও এত গরম পড়েনি। অর্থাৎ, সেই হিসাবে দেখতে গেলে নতুন শতাব্দীতে এবছরের সেপ্টেম্বর মাসে রেকর্ড গরম পড়েছে দার্জিলিঙে।

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসে দার্জিলিঙের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গের উপরের জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩৫ থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে।

    এই পরিস্থিতি লাগাতার চললে পাহাড়ের পরিবেশে সামগ্রিকভাবে কোনও পরিবর্তন আসবে কিনা. তা নিয়েও নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)