‘এ রকম অপরাধ প্রথম দেখলাম’, সাত ঘণ্টা পর সিজিও থেকে বেরিয়ে আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে বললেন নির্মল
আনন্দবাজার | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রায় সাত ঘণ্টা পর সোমবার সন্ধ্যায় সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতর থেকে বেরোলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। সেখান থেকে বেরিয়ে আরজি কর-কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবি তুলে নির্মল জানান, এ রকম অপরাধ তিনি জীবনে প্রথম বার দেখছেন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ধর্ষিতা ও নিহত চিকিৎসক-পড়ুয়া যে এলাকার বাসিন্দা ছিলেন, নির্মল সেখানকারই তৃণমূল বিধায়ক। সিবিআই সূত্রের দাবি, সোমবার তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছিল। যদিও নির্মলের দাবি, ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ করে তিনি সিবিআই দফতরে এসেছিলেন।
গত ৯ অগস্ট সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক-পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। সেই দিন দুপুরে আরজি কর হাসপাতালে হাজির হন নির্মল। সোমবার সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘নির্যাতিতা আমার বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা। নৈতিক দায়িত্ব থেকে ৯ অগস্ট দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ আরজি কর হাসপাতালে গিয়েছিলাম।’’ সন্দীপ ঘোষ (আরজি কর হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ)-এর সঙ্গে আলোচনার অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন নির্মল। তিনি বলেন, ‘‘সে দিন সন্দীপের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তবে কোনও আলোচনা হয়নি।’’ সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে নির্মল এ-ও দাবি করেছেন, এ রকম অপরাধ তিনি জীবনে প্রথম বার দেখছেন। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিও তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আইন আইনের পথ ধরে চলবে। রাজ্য সরকার যে নতুন করে আইন তৈরি করেছে, তা বলবৎ হবেই। যাঁরা এই নারকীয় ঘটনা ঘটালেন, শাস্তি হবেই তাঁদের।’’
যে শ্মশানে নির্যাতিতার শেষকৃত্য হয়েছিল, সেখানে নির্মলের বিরুদ্ধে বেশি ‘সক্রিয়তা’ দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল। এই নিয়ে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে চাননি বিধায়ক। নির্মল জানান, কোথায় তিনি গিয়েছেন, তার জবাব দেবেন না। তাঁর কথায়, ‘‘এটা সংবাদমাধ্যমের বিষয় নয়।’’
নির্মল এ-ও দাবি করেছেন, তিনি নিজে ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ করে সিবিআই দফতরে এসেছেন। তদন্তকারী সংস্থাও সময় দিয়েছে। তারা আবার ডাকলে তিনি আবার আসবেন। সোমবার সকালে সিজিওতে পৌঁছে নির্মল বলেছিলেন, ‘‘এটা তো আমার এলাকার ঘটনা। আমার কিছু জিনিসপত্র জমা দেওয়ার আছে। তাই এসেছি।’’
প্রসঙ্গত, ৯ অগস্ট নির্মলই প্রথম আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নির্যাতন এবং খুনের কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন। সেই দিন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য মূল অপরাধীকে ধরা। সকলে তার জন্য চেষ্টা করছেন। সিপি-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা এসেছেন। প্রশাসনিক কর্তারাও আছেন। একটি নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। কর্তব্যরত চিকিৎসককে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। বিচার সুনিশ্চিত করার জন্য আমাদের তরফ থেকে যা করার করছি। ক্যামেরার সামনেই যা হওয়ার হচ্ছে।’’