যাদবপুরে র্যাগিংয়ের ঘটনায় বছর পার, ৩২ জনকে শাস্তির নিদান বিশ্ববিদ্যালয়ের
এই সময় | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং-এ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে চলেছে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে মোট ৩২ জনকে শোকজ করা হয়েছিল। শোকজের উত্তর পাওয়ার পর ৩২ জনকেই শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি তদন্ত শুরু করে। মোট ৩২ জনকে এই ঘটনায় চিহ্নিত করে শোকজ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই ৩২ জনের মধ্যে ১৫ জন অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল।
অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ৩২ জনকে শোকজ করার পর কেউ কেউ উত্তর দেয়নি বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। বাকিদের কারও উত্তর গ্রাহ্য করা হয়নি। ৩২ জনের মধ্যে ১৫ জনের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকায় এখনই তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তি কার্যকর হচ্ছে না। তবে, বাকি ১৭ জনের বিরুদ্ধে শীঘ্রই শাস্তি কার্যকর করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে ফেটসুর প্রাক্তন চেয়ারপার্সন অরিত্র মজুমদার (আলু নামে পরিচিত), গৌরব দাস, সৈকত শিট-সহ একাধিক জনের নাম রয়েছে। রয়েছে এসএফআইয়ের এক নেতার নাম।
প্রসঙ্গত, গত বছর অগস্ট মাস নাগাদ যাদবপুরের মেইন হস্টেলের ব্যালকনি থেকে পড়ে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় নদিয়ায় এক কিশোরের। বিএ প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছিল সেই কিশোর। অভিযোগ উঠেছিল, তাঁকে নৃশংসভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে মেরে ফেলা হয়েছে। অভিযোগের আঙুল ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই কয়েকজন প্রাক্তনী ও সিনিয়রের দিকে। তাঁদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত ছ’জন রয়েছেন জেলে। এদের নাম, অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত, সোশিওলজি বিভাগের মনোতোষ ঘোষ, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এম ডি আসিফ আফজল আনসারি, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অঙ্কন সরকার, সত্যব্রত রায় ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এমডি আরইফ জেলবন্দি রয়েছেন। ওই মর্মান্তিক ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হস্টেল নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইউজিসি-র নিয়ম মেনে প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের আলাদা হস্টেলে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘সিনিয়র’দের অবাধ প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।