জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বাড়ি আলিপুরদুয়ারের কামাখ্যাগুড়ি এলাকায়। বছর পাঁচ আগে তাঁর সাথে বিয়ে হয় জলপাইগুড়ির মাদারিহাটের এক ব্যক্তির সাথে। প্রায় তিনমাস আগে আচমকায় নিখোঁজ হয়ে যান ওই মহিলার স্বামী। তারপর স্থানীয় থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। চারদিকে স্বামীর খোঁজ করতে শুরু করে তিনি। এরপর বাড়ি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে সংহতি নগর এলাকায় এক বাড়িতে খোঁজ পান স্বামীর। জানতে পারেন, সেখানে অন্য এক মহিলার সঙ্গে সংসার পেতেছেন তাঁর স্বামী। তাই একেবারে নিজেই পৌঁছে যান সেখানে। সরাসরি সেখানে গিয়ে একাবারে হাতেনাতে ধরেন তাঁর স্বামী ও অন্য আরেক মহিলাকে। জানতে পারেন তাঁর স্বামী ওই পর-মহিলার সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার করছেন। সেখানে গিয়ে চেঁচামেচি শুরু করে দেন ওই মহিলা। মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় আশেপাশের মানুষের ভিড় জমে যায়। তাঁদের উচিত শিক্ষা দিতে সঙ্গে করে বিছুটি পাতা নিয়ে যান। সুযোগ পেলেই তিনি স্বামী সহ ওই গৃহবধূর শরীরে বিছুটি পাতা ঘষে দিতেন বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, পুলিস পৌছে দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরকীয়া সম্পর্কে ধরা পড়ার পর অনেককে অনেক রকম সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার ঘটনায় হতভম্ব হয়েছেন এলাকবাসি। স্ত্রী ঠিক কাজ করেছেন, এরকমই বলছেন সবাই।