ওই মহিলা আইনজীবীর দাবি, ঘড়িতে তখন পৌনে এগারোটা। হাইকোর্টের সি ব্লিল্ডিংয়ে লিফটে একাই ছিলেন তিনি। সেই সুযোগে হাইকোর্টেরই চতুর্থ শ্রেণীর এক কর্মী ওই মহিলা আইনজীবীর শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। এরপর হাইকোর্টের অন্য আইনজীবী খবর দেন ওই তরুণী। অভিযুক্তকে এজলাস থেকে ডেকে নিয়ে রীতিমতো মারধর করা হয়। শেষপর্যন্ত হেয়ার স্ট্রিট থানায় খবর দেন হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবীরা। এর আগেও, মামলা শুনানি তালিকায় আগে তুলে আনার টোপ দিয়ে নাকি ওই মহিলা আইনজীবীর ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত! তাঁকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন ওই তরুণী।
এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে দিনেদুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় এবার হাইকোর্টের মহিলা আইনজীবীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠেছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, স্বামী-স্ত্রী দু'জনেই পেশায় আইনজীবী। ব্যক্তিগত কাজে বাইকে চেপে একসঙ্গে একসঙ্গেই বেরিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু মাঝপথে হঠাত্-র বাইকে পেট্রোল শেষ হয়ে যায়। হেঁটে তখন পেট্রোল পাম্পের দিকে যাচ্ছিলেন ওই মহিলা আইনজীবী ও তাঁর স্বামী। অভিযোগ, নরেন্দ্রপুরের শিমুলতলা এলাকায় ওই মহিলা ছবি তোলেন কয়েকজন যুবক। সঙ্গে অশ্লীল ইঙ্গিত, মন্তব্যও!
ঘটনার প্রতিবাদ করেন ওই আইনজীবীর স্বামী। এরপর তাঁকেও অভিযুক্তরা গালিগালাজ, এমনকী হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই উত্তম গোপ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস।