দেহ উদ্ধারের দিন কেন হাজির আর জি করে? ম্যারাথন সিবিআই জেরার পর মুখ খুললেন পানিহাটির বিধায়ক
প্রতিদিন | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিধান নস্কর, বিধাননগর: সাড়ে ছয় ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই দপ্তর থেকে বেরলেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ। জানালেন, কেন ৯ আগস্ট, তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর দিন তিনি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?
জিজ্ঞেস করা হয়েছিল কারও নির্দেশ মেনে কি সেদিন হাসপাতালে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক? জবাবে নির্মল ঘোষ বলেন, “অভয়ার বাড়ি আমার বিধানসভা এলাকায়। আমার এলাকার ডাক্তার। নৈতিক দায়িত্ব পালনে আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম।” ৯ আগস্ট সাড়ে তিনটের সময় হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। এর পরই জানতে চাওয়া হয়, তাঁর সঙ্গে কি আর জি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দেখা হয়েছিল? কথা হয়েছিল? জবাবে নির্মল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “কে সন্দীপ ঘোষ!” সাংবাদিকরা সন্দীপের পরিচয় দেওয়ার পর বিধায়ক জানান, দেখা হয়েছিল। তবে কোনও কথা হয়নি।
ইতিপূর্বে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, শ্মশানে তরুণী চিকিৎসকের দেহ সৎকারের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। চাপ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিধায়ক নির্মল ঘোষের বিরুদ্ধে। এদিন বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে বিধায়ক কার্যত এড়িয়ে যান।
গত ৯ আগস্ট যখন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে যখন নির্যাতিতার মৃতদেহ পানিহাটির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই মুহূর্তে মৃতদেহ সৎকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখা গিয়েছিল স্থানীয় বিধায়কের। ছবি ও তথ্য আগেই সিবিআই-এর হাতে এসেছিল। কী কারণে দেহ সৎকারে স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষের এত তৎপরতা? এই প্রশ্নে তখন থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন তিনি। এনিয়ে বার বার ঘোলা থানার আইসিকেও তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি গরহাজির ছিলেন। এর পর একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এমনকী সেদিনের ভিডিও ফুটেজে শ্মশানের ছবি দেখেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর পরই নির্মল ঘোষকে তলব করল সিবিআই। তাঁদের অনেক তথ্য দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে আবারও সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিলেন বিধায়ক।