• ফেলে দেওয়া সিরিঞ্জ, স্যালাইনের বোতল ফের ব্যবহার জেনে যাওয়াতেই ‘অভয়া’কে খুন? সন্দেহ সিবিআইয়ের
    প্রতিদিন | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • স্টাফ রিপোর্টার: একবার ব্যবহার হয়ে যাওয়ার পর ইঞ্জেকশনের সেই সিরিঞ্জ ও স‌্যালাইনের বোতল বেআইনিভাবে ফের চলে আসছে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে। অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে রোগী পরিষেবায়! আর নতুন সিরিঞ্জ, স‌্যালাইনের বোতল কেনার টাকা হস্তগত করছেন সন্দীপ ঘোষ। ডিউটি করতে গিয়ে এই তথ‌্য জানার পর প্রতিবাদ করেছিলেন আর জি কর হাসপাতালে নির্যাতিতা। আর তার জেরেই তিনি টার্গেট হয়ে পড়েন সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর চক্রের সদস‌্যদের। তরুণী ওই চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন তারই পরিণতি কিনা তা জানতে তদন্ত করছে সিবিআই।

    ইতিমধ্যেই সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠর মোবাইল ঘেঁটে কিছু অডিও ক্লিপের হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই ক্লিপগুলিতে তাদের কথোপকথনের কিছু প্রমাণও পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই সূত্রেই সিবিআই জেনেছে, সন্দীপ ঘোষকে তাঁর এক ঘনিষ্ঠ মন্তব‌্য করছেন যে, ‘মেয়েটা বড্ড বাড়াবাড়ি করছে।’ এখন কিছু না করলেই নয়। যদিও সেই মেয়েটির পরিচয় সম্পর্কে অডিও ক্লিপে কিছু বলা হয়নি। তবে সিবিআই আধিকারিকরা অনেকটাই নিশ্চিত যে, ব‌্যবহৃত সিরিঞ্জ, স‌্যালাইনের বোতল ফের ব‌্যবহার করার জন‌্য যে তাঁদের কাছে পাঠানো হচ্ছে, এই তথ‌্য জানার পর প্রতিবাদ করেছিলেন হাসপাতালে নির্যাতিতা ওই তরুণী চিকিৎসকই। সেই কারণেই তাঁর মুখ বন্ধ করার ব‌্যবস্থা করেন সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা। চাঞ্চল্যকর এই তথ্যের নিরিখে নির্যাতিতা ঠিক কেমন ও কত হুমকির মুখে পড়েছিলেন, তা জানতে কয়েকজনকে জেরা করা হচ্ছে।

    সিবিআইয়ের কাছে আসা খবর অনুযায়ী, গত কয়েক বছর ধরেই আর জি কর হাসপাতাল থেকে যে পরিমাণ বর্জ‌্য বের হচ্ছিল, তা যে অন‌্য সরকারি হাসপাতালগুলির এক তৃতীয়ংশ, সেই খবর জানতে শুরু করেন চিকিৎসকরা। অন‌্য চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই জেনেছে যে, অন‌্য চিকিৎসকদের মতো নির্যাতিতার চোখেও পড়ে যে, ব‌্যবহার হওয়া ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ, স‌্যালাইন বোতল, এমনকী, মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ওষুধও ব‌্যবহার করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করতে শুরু করেন নির্যাতিতা। এমনকী, বিষয়টি তিনি তাঁর বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসকদের জানান। সেই সূত্রে এই প্রতিবাদের খবর যায় আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ‌্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের কাছে। যেহেতু এই যাবতীয় দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড সন্দীপ ঘোষ বলেই অভিযোগ, তিনি বিষয়টি নিয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠ চিকিৎসকদের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেন। সেই অডিও ক্লিপই সিবিআইয়ের হাতে আসে বলে সূত্রের খবর। সিবিআইয়ের প্রশ্ন, এর পরই কি ওই তরুণী চিকিৎসককে খুনের ছক কষা হয়? তাঁকে অচেতন করে রেখে সঞ্জয় রায়কে ডেকে ঘটানো হয় ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের ঘটনা? এই একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবার আরও কয়েকজনকে জেরা করবে সিবিআই।
  • Link to this news (প্রতিদিন)