চেহারা অর্ধেক! মেয়ের হাত ধরে জেল থেকে বের হলেন কেষ্ট
এই সময় | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পরনে হলুদ-ছাই রংয়ের টি শার্ট। পরিপাটি করে আঁচড়ানো চুলে কলপ করা হয়েছে। তবে, চেহারাটা প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। ভারিক্কি ব্যাপারটা নেই। মেয়ের হাত ধরে তিহার জেলের দরজা দিয়ে যখন বের হলেন, তখন বাইরে ক্যামেরার ঝলকানি। অবশেষে, সোমবার রাতে জেল থেকে ছাড়া পেলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল।জেল থেকে বের হওয়ার পরেই কেষ্ট দা’কে ছেঁকে ধরেন সাংবাদিকরা। একাধিক প্রশ্নও করা হয় তাঁকে। যদিও, একটিও প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে গাড়িতে উঠে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। মঙ্গলবারই নিজের বাড়িতে ফিরছেন অনুব্রত। দিল্লি থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার ২.২০ মিনিটের ফ্লাইটে চেপে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবেন অনুব্রত মণ্ডল। কলকাতায় ফ্লাইট পৌঁছবে ভোর ৪.২০ তে। সেখান থেকে সোজা বাড়ি যাবেন তিনি বলেই খবর।
প্রায় দেড় বছর পর তিহার জেল থেকে মুক্তি পেলেন বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গত শুক্রবার তাঁকে জামিন দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। তবে, আইনি কাগজপত্র জমা না পড়ায় তাঁর জেলমুক্তি তখনই সম্ভব হয়নি। সোমবার রাতে তিহার জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ পেলেন অনুব্রত। সম্প্রতি গোরু পাচারে ইডির করা মামলায় জামিন পেয়েছেন অনুব্রত সুকন্যা মণ্ডল। জামিন পাওয়ার পর তিনি দিল্লিতেই ছিলেন। সোমবার রাতে তিহার জেলের তিন নম্বর গেট থেকে বেরিয়ে আসেন অনুব্রত। বাবার সঙ্গেই রাজ্যে ফিরছেন তিনিও।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১১ অগস্ট বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকার বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। প্রথমে তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল। ২০২৩ সালের ২১ মার্চ থেকে দিল্লির তিহার জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালে গোরু পাচার মামলায় অবৈধ আর্থিক লেনদেনের জন্য তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সেইথেকে তিহার জেলে ঠাঁই হয় পিতা এবং কন্যার। তবে, এবার বাড়ি ফেরার পালা। অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর অনুগামী থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।