জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকদের জেলায় আরও বেশি করে ঘোরার নির্দেশ
বর্তমান | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকদের আরও বেশি করে এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাপ্রশাসনের একাংশ অফিসে বসেই সময় কাটাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাঁদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার, পুলিস সুপার আমনদীপ সহ অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এলাকায় গিয়ে মানুষের কথা শুনতে হবে। কেউ কোনও সমস্যায় থাকলে ব্যবস্থা নিতে হবে। আবার নতুন করে দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে। কোনও পরিবারকে সরানোর দরকার হলে ত্রাণশিবিরে আনতে হবে।
প্লাবিত হওয়ায় জেলার বহু এলাকার রাস্তা বেহাল হয়ে গিয়েছে। সদ্য সংস্কার হওয়া রাস্তাও খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের রায়না, জামালপুর এবং গলসি এলাকায় বহু বেহাল রাস্তা রয়েছে। রাস্তাগুলি সংস্কারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিধায়ক এবং সাংসদদের এগিয়ে আসার নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশ, বিধায়ক এবং সাংসদরা নিজেদের তহবিলের টাকায় রাস্তা সংস্কার করুন। কোথাও যাতে পানীয় জলের সমস্যা না হয়, তা দেখতে হবে। শুকনো খাবার যথেষ্ট পরিমাণ মজুত রাখতে হবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সাপে কাটার ওষুধ মজুত রাখতে হবে। এই সময় ডায়ারিয়ার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই ওষুধও রাখতে হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সব কাজেই জনপ্রতিনিধিদের অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিডিও, এসডিওদেরও এলাকায় যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বন্যার জল জমে যাওয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই বিষয়টির দিকেও নজর দিতে বলা হয়।
দামোদর এবং মুণ্ডেশ্বরীর জল উপচে জামালপুর এবং রায়না এলাকার বহু গ্রামে জল জমেছিল। প্লাবিত হওয়া ওই এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন। জামালপুর এবং রায়না প্লাবিত হওয়ার জন্য তিনি ডিভিসিকেই দায়ী করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ইস্যুতে ডিভিসিকে তুলোধোনা করেছেন। তিনি বলেন, ডিভিসির কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই জল ছাড়ে। সেই কারণেই আমাদের আধিকারিকদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়েছি। বন্যাদুর্গত এলাকার বাসিন্দারা যাতে সমস্যায় না পড়েন তারজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফ্লাডশেল্টার তৈরি করা হয়েছে। আবার ভারী বৃষ্টি হলে মানুষ যাতে সমস্যায় না পড়ে তারজন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। সকলকেই এলাকায় গিয়ে কাজ করতে হবে।