কুর্মিটোলা জয়হিন্দ ক্লাব ও লাইব্রেরির পুজোয় দেখা যাবে অযোধ্যার রাম মন্দির
বর্তমান | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আনন্দ সাহা, লালবাগ: থিম বা শিল্পভাবনার ক্ষেত্রে লালবাগের ১ নম্বর কুর্মিটোলা জয়হিন্দ ক্লাব ও লাইব্রেরির পুজো বিগত কয়েক বছর ধরে দর্শনার্থীদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। প্রতি বছর এই ক্লাবের মণ্ডপ, প্রতিমা ও আলোকসজ্জায় চমক থাকে। পুজোর দিনগুলিতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মণ্ডপে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি ভিনজেলার দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। নবাবের শহরের এই পুজোর মণ্ডপ, প্রতিমা ও আলোকসজ্জা দেখতে মানুষ লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। ভিড় সামাল দিতে উদ্যোক্তাদের হিমশিম খেতে হয়।
লালবাগের ১ নম্বর কুর্মিটোলা জয়হিন্দ ক্লাব ও লাইব্রেরির পুজো চলতি বছর ৬৫ বছরে পদাপর্ণ করতে চলেছে। এটি জেলার অন্যতম বিগ বাজেটের পুজো। এবছর বাজেট ২০ লক্ষাধিক টাকা। অযোধ্যার রাম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ক্লাবের কংক্রিটের দুর্গামন্দিরের সামনে ৮০০ বর্গফুট জায়গার উপর ৮০ ফুট উচ্চতার মণ্ডপ তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। মণ্ডপ তৈরিতে বাঁশ, কাঠের তক্তা, প্লাইউড ও ফোম ব্যবহার করা হচ্ছে। মণ্ডপ তৈরির কাজ দেখতে লালবাগ, ভগবানগোলা ও লালগোলার পাশাপাশি সদর শহর বহরমপুর থেকেও উৎসুক মানুষ প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন কুর্মিটোলায়।
ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে করোনার সচেতনতা নিয়ে থিমের পুজো শুরু হয়। প্রথম বছর থেকেই দর্শনার্থীদের প্রশংসা কুড়িয়েছে লালবাগের ক্লাবটি। তবে ২০২২ সালে বদ্রীনাথ মন্দির ও গত বছর মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের আদলে মণ্ডপ সজ্জা ক্লাবের পরিচিতিকে জেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে প্রতিবেশী জেলাগুলিতেও পৌঁছে দিয়েছে। মণ্ডপ সজ্জায় অভিনবত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ মুর্শিদাবাদ পুরসভার শারদ সম্মান প্রতিযোগিতায় জয়হিন্দ ক্লাব ও লাইব্রেরি গত দু’বছর প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। ক্লাবের সম্পাদক দুলাল পোদ্দার ও সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, মণ্ডপের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রামলালার আদলে প্রতিমা তৈরি হচ্ছে। সেই সঙ্গে রামলালার হুবহু আদলে মণ্ডপে রামের মূর্তি থাকবে। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আলোকসজ্জাতেও চমক থাকছে। ক্লাবের সভাপতি সরোজিৎ চৌধুরী ও দীপঙ্কর মজুমদার বলেন, থিমের পুজোর প্রথম বছর থেকে আমরা মানুষের সমর্থন পেয়ে আসছি। ১ নম্বর কুর্মিটোলার পুজোর থিমের দিকে তাকিয়ে থাকে জেলার মানুষ। সেই কারণে পুজো উদ্যোক্তা হিসেবে আমাদের একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পুজোর থিমে দর্শনার্থীদের কাছে নতুন কিছু তুলে ধরার চেষ্টা থাকে। এবছর চতুর্থীতে পুজোর উদ্বোধন হবে। আশা করছি ওইদিন থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়বে। একাদশী পর্যন্ত মণ্ডপে প্রতিমা থাকবে। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য কুর্মিটোলা স্কুলমাঠে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র