• মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের আদলে মণ্ডপ সরাইপাড়া ষোলআনা দুর্গাপুজো কমিটির
    বর্তমান | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: বয়সে নবীন। তা সত্ত্বেও বলরামপুর সরাইপাড়া ষোলআনা দুর্গাপুজো কমিটি এবার বলরামপুর তথা জেলার বড় পুজো কমিটিগুলিকে টেক্কা দিতে মরিয়া। দ্বিতীয় বছরের পুজোতেই ভিড় টানতে মায়াপুরের ইসকনের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করছেন উদ্যোক্তারা। জেলার তো বটেই প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকেও বহু মানুষ ভিড় করবেন বলে উদ্যোক্তাদের আশা। 


    বলরামপুর সরাইপাড়া ষোলআনা দুর্গাপুজো কমিটি ২০০৯ সালে প্রথমবার পুজো করে। তারপর তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২০২৩ সালে পুনরায় পুজো শুরু করে এই কমিটি। প্রথম বছর মণ্ডপ সজ্জায় সেভাবে দাগ কাটতে না পারলেও নতুন পুজো দেখতে বলরামপুরের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা ছাড়াও আশপাশের এলাকা থেকেও বহু মানুষ আসে। প্রথম বছরের পুজোর ব্যাপক ভিড়ই থিমের পুজোর প্রতি উৎসাহিত করে পুজো কমিটিকে। পুজো কমিটির সভাপতি রয়েছেন সুভাষচন্দ্র মাঝি, সম্পাদক বিরিঞ্চি গড়াই। তাঁরা জানান, যে জায়গায় পুজো হচ্ছে, সেটি পুরুলিয়া জেলা পরিষদের। গত বছর পুজোর অনুমোদন পেতেই অনেকটা সময় চলে গিয়েছিল। মহালয়ার আগের দিন অনুমোদন পাওয়া গিয়েছিল। প্রথম বছরের পুজোতে জাঁকজমক তেমন না থাকলেও নতুন পুজো দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমান। পুজোর ওই ক’দিনের ভিড় এবং সাধারণ মানুষের উৎসাহে এবার থিমের পুজোয় জোর দেওয়া হয়েছে।


    বিরিঞ্চিবাবু আরও বলেন, এবার মায়াপুরের ইসকনের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও পুজো মণ্ডপ চত্বরে শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থার পাশাপাশি রকমারি খাবারের স্টলও থাকবে। বলরামপুর ছাড়াও বাঘমুণ্ডি এবং বরাবাজার থানা এলাকা থেকেও প্রচুর মানুষ পুজো দেখতে আসে। বড় প্যান্ডেলের খবর ইতিমধ্যেই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। পাশের রাজ্যের ঝাড়খণ্ড থেকেও বহু মানুষ মণ্ডপ ও ঠাকুর দেখতে আসবে বলে মনে হয়। 


    পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মণ্ডপ সজ্জার পাশাপাশি আলোকসজ্জাতেও বিশেষ চমক রয়েছে। পুজোর বাজেট প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির সম্পাদক বলেন, ২০০৯ সালে এখানে পুজো শুরু হয়েছিল। তারপর এই পুজো বন্ধ হয়ে যায়। গত বছর থেকে পুনরায় পুজো শুরু করা হয়। পুজোকে ঘিরে এলাকার সাধারণ মানুষের উন্মাদনাটাই আলাদা।-নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)