সংবাদদাতা, ঘাটাল: ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। তাই বিদ্যুৎ দপ্তরের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে পথ অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমবার দাসপুর-মেদিনীপুর রাস্তার সামাটে ওই এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করায় প্রচুর মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। অবরোধ তুলতে দাসপুর থানার ওসি অঞ্জনিকুমার তেওয়ারি ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান অবরোধকারীরা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বণ্টন নিগমের ঘাটাল ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার ও ডিভিশনাল ম্যানেজার বিশ্বদেব বিশ্বাস বলেন, বিদ্যুতের কারণে সামাটে অবরোধের কথা শুনেছি। কিন্তু এনিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। ওই এলাকা প্লাবিত। দিনের বেলাও প্রচুর নৌকা চলাচল করে বলে দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলায় বিদ্যুতের কানেকশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর চালু করা হয়। এলাকা থেকে জল না নামলে এইভাবেই চলতে থাকবে।
ওই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, মঙ্গলবার থেকে সামাট ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। বর্তমানে এলাকা থেকে জল নেমে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ না দেওয়ার ফলে বাড়ির পাম্প চালানো, মোবাইল চার্জ করা যাচ্ছে না। দিনের বেলায় তীব্র গরমে শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও অসুস্থদের খুব সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি তাঁরা বার বার বিদ্যুৎ দপ্তরে জানিয়েও কোনও ফল পাননি। সেজন্যই এদিন অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন।এদিকে ওই রুটে বন্যার জন্য বেশ কয়েক দিন বাস চলাচল বন্ধ ছিল। রবিবার থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এদিন বাস চলাচলের দ্বিতীয় দিনে সকাল ৮টা থেকে প্রায় ১১টা পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করায় বহু মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। বন্যার জন্য বাস চলাচল না করায় মেদিনীপুর থেকে ফিরতে পারেননি ঘাটাল কোন্নগরের মিতা আদক ও তাঁর ছেলে। তিনি বলেন, সাত দিন পরে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর উদ্দেশ্য নিয়ে বেরিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম সকাল সকাল বাড়ি পৌঁছে যাব। কিন্তু তা হল না। অবরোধে আটকে গিয়ে তিন বছরের বাচ্চাকে নিয়ে কি যে নাকালে পড়েছি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। -নিজস্ব চিত্র