বন্যার অজুহাত ঠেকাতে উদ্যোগ, সব্জির দামবৃদ্ধি রুখতে টাস্ক ফোর্স ও পুলিসকে কড়া নজরদারির নির্দেশ
বর্তমান | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ দেখিয়ে পুজোর মুখে বাজারে যাতে সব্জিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর দাম না বাড়ে তার জন্য সক্রিয় হল রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ খাদ্যসামগ্রীর মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠক ডেকেছিলেন। কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাসহ সরকারি ও পুলিস আধিকারিকদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে ছিলেন। বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া রিপোর্টে সরকার জেনেছে, কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার বাজারগুলিতে যেসব জেলা থেকে সব্জি আসে সেখানে বন্যায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তাই বন্যার অজুহাতে কলকাতার খুচরো বাজারে দামবৃদ্ধি হওয়া উচিত নয়। বাজারের পরিস্থিতির উপর সরকার নজর রাখবে। সরকারি টাস্ক ফোর্সের পাশাপাশি পুলিসের এনফোর্সমেন্ট শাখাকে নিয়মিত নজরদারি করতে বলা হয়েছে।
হিমঘরে মজুত আলুর দাম যাতে না বাড়ে তার জন্য ব্যবসায়ীদের একরকম নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। হিমঘর থেকে বেরনোর সময় জ্যোতি আলুর দাম কেজিতে ২৫ টাকার মধ্যে রাখতে বলা হয়েছে। গত কয়েক দিনে দাম কিছুটা বেড়ে ২৬ টাকা হয়েছিল। আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠনের নেতা লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, সব্জির দামবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে আলুতেও। সরকারের তরফে যা বলা হয়েছে, তা নিয়ে তাঁরা সংগঠনের সভায় আলোচনা করবেন। প্রসঙ্গত, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কিছুদিন আগে ভিন রাজ্যে পাঠানোর উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার। ব্যবসায়ীদের অনুরোধে ওই বিধিনিষেধ সম্প্রতি তুলে নিলেও দাম যাতে না বাড়ে সেই ব্যাপারে শর্ত আরোপ করা হয়েছিল।
টাস্ক ফোর্সের সদস্য ও সব্জি ভেন্ডার অ্যাসোসিয়েশনের নেতা কমল দে বৈঠকে বলেন, এইসময় গ্রীষ্মের সব্জির ফলন কমতে শুরু করে। তাই জোগান কমে যাওয়ার জন্য দাম বাড়ে। খুচরো বাজারে যাতে পাইকারি বাজারের তুলনায় অস্বাভাবিক বেশি দাম না নেওয়া হয় সেটা দেখা জরুরি। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়। মহারাষ্ট্রে পেঁয়াজের দামবৃদ্ধির প্রভাব এখানকার বাজারে পড়ছে বলেও জানানো হয়। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সাধারণ মানুষকে ন্যায্য দামে সব্জি সরবরাহ করতে ‘সুফল বাংলা’র আরও স্টল খোলা হবে। চেষ্টা করা হবে প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে সব্জির অস্থায়ী স্টল খোলার। কলকাতা সংলগ্ন জেলাগুলির জেলাশাসকদের চাষির কাছ থেকে সরাসরি সব্জি কেনার ব্যবস্থা করে সুফল বাংলায় পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।