সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: ডিভিসির ছাড়া জলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে আমতা ও উদয়নারায়ণপুর। রাস্তাঘাট, বাড়িঘর থেকে কৃষিজমি—ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে দু’টি ব্লকের উঁচু জায়গা থেকে জল নামতে শুরু করায় সোমবার পরিস্থিতির আরও কিছুটা উন্নতি হয়। এখনও তুলনামূলক নিচু জায়গাগুলি জলমগ্ন। ফলে বহু বাসিন্দার দুর্ভোগ চলছেই। কোথাও কোমরসমান, কোথাও আরও বেশি জল পেরিয়ে মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
আমতা ২নং ব্লকের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল ও সেচদপ্তরের উদ্যোগে শটকার্ট চ্যানেলের সাইফনে ৭টি পাম্প লাগানো হয়েছে। বন্যার জলের প্রবল স্রোতের কারণে উদয়নারায়ণপুরের রাজ্য সড়ক থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েতের রাস্তাগুলি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা জানান, একাধিক জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি বহু রাস্তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যেসব জায়গা থেকে জল নেমেছে, সেখানকার রাস্তাগুলির দুর্দশা বোঝা যাচ্ছে। এখনও অনেক জায়গা জলমগ্ন। ফলে বেহাল রাস্তার সংখ্যা আরও বাড়বে। তিনি আরও জানান, খলতপুর থেকে ডিহিভুরশুট পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তার একাধিক জায়গা জলের তোড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। জল নামলে সমীক্ষা চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে। আমতা ২ নং ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা এখনও জলমগ্ন।
বিশেষ করে থলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সেহাগাড়ি, ভাতেগড়ি, অমরাগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের চকশালিকা, জনার্দনচক, রাউতাড়া, শিবগাছিয়া, ঝিকিরা, নকুবাড়, মনুচক এবং ঝামটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারগোড়, ধারাপাড়া, ধরমপোতার অবস্থা তুলনামূলকভাবে খারাপ অবস্থা। আমতার বিধায়ক জানান, মঙ্গলবার থেকে বাস চালানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।