আরজি কর নির্যাতিতার বাবা-মায়ের দাবি, 'আমরা দেহটা রেখে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এত চাপ তৈরি করা হয়েছিল সেসময়ে। আর কিছু করার ছিল না। দেহ দাহ করতে বাধ্য হই'। কারা চাপ তৈরি করল? কেনই-বা তড়িঘড়ি দাহ করে দেওয়া হল দেহ? আজ, সোমবার পাটিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন তদন্তকারীরা। নির্যাতিতার দেহ দাহ করার ক্ষেত্রে নির্মল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন, খবর সিবিআই সূত্রে।
নিহত চিকিত্সক যে এলাকার বাসিন্দা ছিলেন, সেই এলাকার বিধায়ক নির্মল। এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, 'আমি আমার নৈতিক কর্তব্য পালন করেছি। আমি হাসপাতালে গিয়েছি। সেখান থেকে ডেড বডি নিয়ে বাড়িতে এসেছি। বাড়ি থেকে ডেড বডি নিয়ে শ্মশানে গিয়েছি। রাত বারোটার পর শশানের সৎকার কর্ম সম্পন্ন করে বাড়িতে এসেছি'।
এদিকে আরজি কাণ্ডে এখন সিবিআই হেফাজতে কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে কি কোনও যোগাযোগ বা বৈঠক হয়েছিল? বিধায়কের সোজসাপ্টা জবাব, সন্দীপ ঘোষ আমাকে দেখেছে আমি তো সন্দীপ ঘোষের কাছে আগে থেকে যায়নি। সন্দীপ ঘোষ এর সঙ্গে আমার কোন বইঠক হয়নি। আমার বৈঠক হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে, বৈঠক হয়েছে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে'।