নব্যেন্দু হাজরা: পুজোর আগে আনাজপাতির দাম নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্সের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকেই বিভিন্ন বাজারে তা শুরু হবে। সূত্রের খবর, আমজনতার হাতে সঠিক মূল্যে আনাজ পৌঁছে দিতে রাজ্যে সুফল বাংলার স্টলের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে।
ডিভিসি-র ছাড়া জলে একাধিক জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। আর তারই প্রভাব পড়েছে কাঁচা আনাজের বাজারে। গত কয়েকদিনে আচমকাই বাড়তে শুরু করেছে জিনিসপত্রের দাম। আলু-পটল থেকে শুরু করে বেগুন, কাঁচালঙ্কা, সবেরই দাম বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাম নিয়ন্ত্রণে সোমবার নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। ছিলেন কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না। একাধিক জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সও করা হয়। বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্যে সুফল বাংলার স্টলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বর্তমানে ৬২৬টি স্টল থেকে ন্যায্যমূল্যে সবজি কিনতে পারছেন মানুষ। তার মধ্যে কলকাতাতেই আছে ২০০টি স্টল। পুজোর আগে তা আরও বাড়বে। একইসঙ্গে বাড়ানো হবে বাজারে বাজারে নজরদারি।
কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, হুগলি, হাওড়ার বড় অংশের সবজি খেত জলের তলায় গেলেও তাতে সবজির জোগানে টান পড়ার কথা নয়। কারণ যে সমস্ত জেলা থেকে কলকাতায় সবজি-আনাজপাতি আসে, সেখানে বন্যা হয়নি। মানে দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া থেকে বেশি সবজি ঢোকে কলকাতায়। সেখানে বন্যার কোনও প্রভাব নেই। তাই হিসেবমতো দাম বাড়ার কথা নয়। অথচ বন্যার অজুহাতে একশ্রেণির ফড়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। পুজোর আগে এই দাম আরও বাড়ানোর চেষ্টা করবে ব্যবসায়ীরা। সেটাই নিয়ন্ত্রণ করতে টাস্ক ফোর্সের নজরদারি বাড়ানো হবে। রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “বন্যার অজুহাত দেখিয়ে এই দাম বাড়াচ্ছে একশ্রেণির ফড়ে। তা নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্সের নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। একইসঙ্গে সুফল বাংলার স্টলও বাড়ানো হবে।”