সুরক্ষার স্বার্থে শহরের মেডিক্যাল কলেজে বাড়ছে সিসি ক্যামেরা
আনন্দবাজার | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আর জি করের ঘটনার পরে সব হাসপাতালেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা। হাসপাতাল চত্বরে সুরক্ষার ব্যবস্থা-সহ একাধিক দাবিতে ৪২ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করেন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারেরা। হাসপাতালে সুরক্ষার বিষয়ে রাজ্য প্রশাসন কী ভাবছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্টও। এর পরেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। ঠিক হয়েছে, চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় ওই হাসপাতালগুলিকে সিসি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলা হবে। সূত্রের খবর, আর জি করের সব ক’টি ভবনের প্রতিটি তলাকেই সিসি ক্যামেরার নজরদারির আওতায় আনা হবে। এর জন্য প্রাথমিক ভাবে হাসপাতালের সর্বত্র ৫০০টিরও বেশি ক্যামেরা বসানো হবে। ইতিমধ্যেই ১০০টি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।
এক পুলিশকর্তা জানান, আর জি করে বর্তমানে ১৯০টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তবে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বাকি জায়গাগুলিও সিসি ক্যামেরার নজরদারির আওতায় আনা হবে। এর জন্য পুলিশের তরফে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। বর্তমানে সেখানে নিরাপত্তায় রয়েছে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে থাকছেন কলকাতা পুলিশের ৬০ জন পুলিশকর্মীও।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে বর্তমানে রয়েছে ৩৩০টিরও বেশি সিসি ক্যামেরা, যা দিয়ে ওই হাসপাতালের বিভিন্ন ভবন থেকে শুরু করে গোটা চত্বরে নজরদারি করা হয়ে থাকে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ওই হাসপাতালের সব ক’টি ভবনের প্রতিটি তলাতেই সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। সে জন্য সেখানে নতুন করে বসবে প্রায় ৪০০টি সিসি ক্যামেরা। যার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও প্রায় ৬০০টি ক্যামেরা বসানো হবে। সেখানে বর্তমানে ১৩০টি সিসি ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি চলে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে প্রায় ৩০০টি ক্যামেরা। সেখানে আরও ৮০০টি সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা।
এক পুলিশ আধিকারিক জানান, এসএসকেএম হাসপাতালে প্রায় ১২০০টি সিসি ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি করা হয়। সেখানেও আরও সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া, এম আর বাঙুর হাসপাতাল, বিসি রায় শিশু হাসপাতাল-সহ শহরের বহু হাসপাতাল চত্বরেই সুরক্ষার স্বার্থে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এ জন্য পুলিশের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।