• পুজোয় কীভাবে ঘুরবেন? স্থল-জলপথ নিয়ে বড় উদ্যোগ পরিবহণ দপ্তরের
    আজকাল | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুজোর আগে যেমন প্রস্তুতি থাকে লম্বা, তেমন চিন্তা থাকে পুজোর কয়েকদিন নিয়েও। কী চিন্তা? চিন্তা- রোদ হোক কিংবা বৃষ্টি, কীভাবে ঘুরবেন শহর-শহরতলির পুজো মণ্ডপগুলিতে?

    প্রতি বছরের মত এবছরের রাজ্য পরিবহন দপ্তরের উদ্যোগে শহর এবং শহরতলির নানা জায়গায় ঠাকুর দেখার জন্য রইল বিশেষ ব্যবস্থা। সড়কপথ থেকে শুরু করে জলপথে মিলবে এই বিশেষ পরিষেবা। যদিও বিসর্জনের জন্য সেরকম বিশেষ কোনও ব্যবস্থা থাকছে না বলে জানালেন রাজ্য পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী।

    কী কী বিশেষ উদ্যোগ নিল পরিবহন দপ্তর?

    উত্তর কলকাতার বিশিষ্ট পুজো মণ্ডপ ঘোরার সুযোগ রইল জলপথে। সেক্ষেত্রে মিলেনিয়াম পার্ক থেকে লঞ্চ ছাড়বে সকাল ১১টায়। তারপর হাওড়া জেটি ঘুরে পৌঁছাবে আহিরীটোলা ঘাটে। সেখানে অপেক্ষা করবে এসি বাস। সেই বাসের মাধ্যমেই দর্শনার্থীরা পৌঁছে যাবেন বিশিষ্ট পুজো মণ্ডপ গুলির প্রাঙ্গণে।

    কোন কন প্যান্ডেল দেখা যাবে এই পথে? যাত্রাপথে থাকছে- অহিরীটোলা সংলগ্ন পুজো মণ্ডপগুলি, শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো, কুমোরটুলি পার্ক, জগত মুখার্জি পার্কের পুজো।
    এছাড়াও থাকছে, বলরাম মন্দির ও শ্রী শ্রী মায়ের বাড়ি। শেষে বাগবাজার সর্বজনীন পূজা মণ্ডপ দেখে দর্শনার্থীদের বাগবাজার স্টিমার ঘাটে আবার লঞ্চে তুলে দেওয়া হবে। যা হাওড়া জেটি করে মিলেনিয়াম পার্কে শেষ হবে।
    এছাড়াও দর্শনার্থীদের জন্য লঞ্চে ও যাত্রাপথে স্ন্যাকস এবং চা পরিবেশনও করা হবে। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে ঘোরানো হবে।
    পাঁচ বছরের ঊর্দ্ধে, প্রতিজন পিছু লাগবে ৪০০টাকা।

    কবে মিলবে এই পরিষেবা? এই পরিষেবা মিলবে ষষ্ঠীর সপ্তমী অষ্টমী এবং নবমীতেও।

    জলপথে ছাড়া, স্থলপথে থাকছে বনেদি বাড়ি ঠাকুর দেখারও সুযোগ। সেক্ষেত্রে ভলভো এসি বাসে কলকাতার বনেদি বাড়ি ঠাকুর দেখার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। যাত্রা শুরু হবে ইসলামিক ট্রাম টার্মিনাস থেকে সকাল ৮ টায়। যেখানে রিপোর্টিং সময় থাকছে সকাল সাড়ে সাতটায়।

    কোথায় কোথায় ঘোরা যাবে? বদন চন্দ্র রায় বাড়ি তেহকে শুরু করে বাগবাজার হালদার বাড়ি, বেলুড় মঠ, শোভাবাজার রাজবাড়ি -১, শোভাবাজার রাজবাড়ি -২, ছাতু বাবু ও লাটু বাবুর বাড়ি, রানী রাসমনির বাড়ি, বেহালা রায় বাড়ি, বেহালা সোনার দুর্গা বাড়ি, সাবর্ণ রায় চৌধুরী বাড়ির আটচালার পুজো, সাবর্ণ রায় চৌধুরীদের মেজ বাড়ির পুজো দেখানো হবে একে একে। এক্ষেত্রে ভাড়া থাকছে জনপ্রতি ২০০০ টাকা। ৫ থেকে ১০ বছরে শিশুদের জন্য ভাড়া কিছুটা কম, তাদের লাগবে ১৫০০ টাকা। ০-৫ বছরে শিশুদের ক্ষেত্রে কোন ভাড়া লাগবে না।
    দর্শনার্থীদের সকালে জলখাবার দুপুরে লাঞ্চ ও বিকেলের স্ন্যাকস পরিবেশন করা হবে। এছাড়াও চা ও পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। প্রত্যেক দর্শনার্থীর সাথে সচিত্র পরিচয় পত্র রাখা আবশ্যিক বলেও জানানো হয়েছে।

    কবে মিলবে এই পরিষেবা? এই পরিষেবা মিলবে ষষ্ঠী সপ্তমী অষ্টমী এবং নবমী-তে।

    শহরতলি থেকেও কলকাতায় বাসে পরিক্রমা সুবিধা থাকছে।

    হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন সিটিসি টার্মিনাস, টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো, বারাসাত কলোনি মোড়, মধ্যমগ্রাম চৌমাথা, ডানলপ মোড় অর্থাৎ শহরতলীর এই সমস্ত টার্মিনাস থেকেও ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীতে মিলবে পরিষেবা।

    বাসগুলি নির্ধারিত রুটে শহরের বিখ্যাত বারোয়ারির পুজো গুলি দেখাবে, তারপর যথাযথ স্থানে ফিরে আসবে। হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন সিটিসি টার্মিনাস, টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে ভাড়া জনপ্রতি ৪৫০ টাকা। বারাসাত কলোনি মোড়, ব্যারাকপুর থেকে ভাড়া জনপ্রতি ৫০০ টাকা। হাবড়া ডিপো থেকে ভাড়া জনপ্রতি ৬০০ টাকা। তালিকায় থাকছে- একডালিয়া, সিংহী পার্ক, বাদামতলা আসার সংঘ, মুদিয়ালি, শিব মন্দির, কলেজ স্কোয়ার, বাগবাজার সর্বজনীন, বাগবাজার পল্লী।

    এবার বিলাস বহুল বাসেও কলকাতার পুজো পরিক্রমা সুযোগ থাকছে।

    এসপ্ল্যানেড ও বারাসাত থেকে এসি ও আরামদায়ক ভলভো বাসে কলকাতার পুজো গুলি করার সুযোগ থাকছে। সুযোগ করে দিচ্ছে রাজ্য পরিবহন দপ্তর।
    একডালিয়া, সিংহী পার্ক, বাদামতলা আষাঢ় সঙ্গে, মুদিয়ালী, শিব মন্দির, মোহাম্মদ আলী পার্ক, কলেজ স্কোয়ার, বাগবাজার সর্বজনীন, বাগবাজার পল্লী দেখানো হবে।
    এক্ষেত্রে বারাসাত থেকে জনপ্রতি ভাড়া লাগবে ২১০০ টাকা। এসপ্ল্যানেড থেকে জনপ্রতি ভাড়া ২০০০ টাকা। পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বে ভাড়া লাগবে। এই বাসে ও স্ন্যাকস,চা, কফি ও লাঞ্চ পরিবেশন করা হবে।

    এই পরিষেবা মিলবে ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী। সকাল ন'টায় ছাড়বে বাস এবং যাত্রা শেষে একই জায়গায় ফিরে আসবে।

    শহর থেকে দূরে, গ্রাম বাংলার পুজো দেখার ও সুযোগ করে দিচ্ছে রাজ্য পরিবহন দপ্তর।
    কলকাতা থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে বসিরহাট সংলগ্ন দুটি গ্রামে বনেদি বাড়ির পুজো দেখার সুযোগ থাকছে। কীভাবে?

    এসি বাস ছাড়বে সকাল ৮ টায় এসপ্ল্যানেড টার্মিনাস থেকে। রাজারহাটে চিনার পার্কের কাছে এসে পৌঁছাবে ৮ টা বেজে ৩০ মিনিটে। গায়েন বাড়ি, সাহু বাড়ি, বল্লভ বাড়ি, রাধাকান্ত মন্দির ঘুরিয়ে দেখানো হবে। এরপর এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে আড়বালিয়া গ্রামে। সেখানে বসু পরিবার আর ভট্টাচার্য পরিবারের ঠাকুর দেখানো হবে এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি বনেদি বাড়ির ঠাকুর দেখানো হবে। জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ২০০০ টাকা।
    সকালের জলখাবার এবং দুপুরের ভোগ দেওয়া হবে।
    এই পরিষেবা ও মিলবে সপ্তমীর, অষ্টমী এবং নবমীর দিন অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন এই পরিষেবা মিলছে না।

    রাজ্য পরিবহন দপ্তর কামারপুকুর ও জয়রামবাটিতে পুজো দর্শনের সুযোগ করছে। অষ্টমীর দিন অর্থাৎ ১১-ই অক্টোবর সকালে একটি করে এক্সিকিউটিভ বাস ছাড়বে এসপ্ল্যানেড থেকে ভোর ৫ টায় বারাসাত থেকে ভোর ৪ টে বেজে ১৫ মিনিটে। জয়রামবাটিতে পুজো দর্শনের পর ফিরতি পথে কামারপুকুর দর্শন করানো হবে রাজ্য পরিবহন দপ্তরের পক্ষ থেকে।

    নন এসি বাসটি জনপ্রতি ভাড়া এসপ্ল্যানেড থেকে ৭০০ টাকা। বারাসাত থেকে ৮০০ টাকা। (পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বে ভাড়া লাগবে)।
  • Link to this news (আজকাল)