• ২৬৪ বছরের পুরনো দুর্গাপুজো পূর্ব বর্ধমানের বড়গোপীনাথপুরে, তুঙ্গে প্রস্তুতি
    আজকাল | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো শুরু হয়ে যাবে আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই। সারা বাংলা জুড়ে বিভিন্ন মণ্ডপ ও মন্দিরে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। সেরকমই চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে পূর্ব বর্ধমান জেলার দক্ষিণ দামোদর এলাকার খণ্ডঘোষ ব্লকের বড়গোপীনাথপুর গ্রামের জমিদার বাড়িতে। বড়গোপীনাথপুর গ্রামে জমিদার আমল থেকে জমিদার পরিবারের দুই ভাই বড় দত্ত এবং মেজো দত্ত পরিবারের দেবী দুর্গাকে পুজো করে আসছেন। মেজ দত্ত পরিবারের পুজো কমিটির সদস্য তুফান দত্ত বলেন, ‘ইংরেজির ১৭৬১ সালে আমাদের পুজো আরম্ভ হয়েছিল। এই বছর ২৬৪ বছরে পদার্পণ করবে আমাদের মেজদত্ত পরিবারের দেবী দুর্গার পুজো। জমিদার বাড়ির ইতিহাস হিসাবে এখনও ভগ্নদশা অবস্থায় পড়ে আছে মন্দিরের গায়ে একটি ঘর যা জমিদার বাড়ির টাকা রাখার ঘর এবং হিসাব ঘর নামে পরিচিত ছিল।

    অন্যান্য মন্দিরে যেমন অনেক আগে থেকেই দেবীর মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে, আমাদের মেজোদত্ত পরিবারের দেবীর মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয় জন্মাষ্টমীর দিন থেকে। ওই দিনই মায়ের গায়ে প্রথম মাটির প্রলেপ দেওয়া হয় প্রতিবছর। ব্রাহ্মণদের দেওয়া পুজোর পদ্ধতি মেনেই চলে দেবীর পুজো অর্চনা। পুজোর চার দিন সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত মেজো দত্ত পুজো কমিটির সমস্ত পরিবারের মানুষজন এবং আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে একসাথে থাকে ভোজনের ব্যবস্থা। পুজোর তিন দিন অর্থাৎ সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীর সন্ধ্যায় মন্দির এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় পাড়ার সহ গ্রামের ছেলেমেয়েদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দশমীর রাত্রে দেবী বিসর্জনের পর গ্রামের মানুষদের জন্য থাকে নরনারায়ণ সেবা। ছাগবলির পরিবর্তে ওলাচিনি বলি এবং সন্দেশবলি দেওয়া হয় মায়ের উদ্দেশ্যে। মায়ের মূর্তি তৈরি হয় ডাকসাজের আদলে’।

    অন্যদিকে, বড় দত্ত পরিবারের পুজো কমিটির এক সদস্য খোকন কোঁয়ার বলেন, ‘আমাদের দেবীর মূর্তি তৈরি প্রায় শেষের দিকে। জমিদার আমলে একই সঙ্গে দুই পরিবারের পুজো আরম্ভ হয়েছিল। কিন্তু কালের প্রভাবে এখন আর জমিদারি নেই। বড় দত্ত দেবীর পুজো করা হয় পুজো কমিটির সেবায়েতদের সহযোগিতায়। আমাদের পুজো কমিটির সেবায়েতদের সংখ্যা অনেকটাই কম। মায়ের পুজো অর্চনার কোন ত্রুটি রাখি না। আমাদের দেবীর পুজোতেও কোন ছাগবলি হয় না’।
  • Link to this news (আজকাল)