মেয়ে সুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার বীরভূমে নিজের বাড়িতে ফিরলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ তিনি বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে পৌঁছন। তাঁকে স্বাগত জানাতে বাড়ির সামনে অনুগামীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। বাড়ি ঢোকার আগে চোখে জল কেষ্টর।তিহাড় জেল থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর মেয়ে সুকন্যার সঙ্গে সোমবার রাতেই দিল্লি থেকে বিমানে কলকাতা রওনা দেন অনুব্রত। মঙ্গলবার ভোরে তিনি ও সুকন্যা কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন। সেখান থেকে গাড়িতে সোজা তাঁরা রওনা দেন বীরভূমের উদ্দেশে। বর্ধমানের পর একটি জায়গায় সামান্য সময়ের জন্য থামে অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি। সেই সময় সেখানে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দেন।
অনুব্রত বলেন, 'দিদির জন্য আছি, সবসময় থাকব'। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'যদি শরীর ভালো থাকে তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হবে।’ ফিরহাদ হাকিম লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমে অনুব্রত মণ্ডলকে ‘বাঘ’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে কোনও জবাব দেননি বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। তাঁর জবাব, ‘কোনও বিতর্কে যাব না।’ তিনি আদালতকে সম্মান করেন এবং আইন মেনে চলেন বলেও দাবি এই নেতার।
অনুব্রতর গ্রেপ্তারের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে ‘এজেন্সি রাজনীতি’-র অভিযোগ তুলেছিলেন। কেষ্ট মুক্তি পেলে তাঁকে ‘বীরের সম্মান’ দিয়ে ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অনুব্রতর জন্য তাঁর বোলপুরের বাড়ির সামনে অনুগামীরা জমায়েত করেন সকাল থেকেই। হাজির ছিলেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বাড়ির কাছাকাছি গাড়ি পৌঁছতেই চোখে জল দেখা গেল এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার।
গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে গলায় মালা পরিয়ে দেন অনুগামীরা। এরপর তিনি বাড়ির ভেতরে চলে যান। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে গোরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বেশ কিছু দিন তিনি আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন। এরপর তাঁকে হেফাজতে নেয় ইডি এবং দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে। দীর্ঘ সময় তিনি দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন। গত শুক্রবার জামিন পান এই তৃণমূল নেতা।