‘ডুবিয়ে ছাড়বে’, দামোদরে জল দেখে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর
এই সময় | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সঞ্জয় দে, দুর্গাপুর
বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সোমবার বিকেলে বর্ধমান থেকে বন্যা বিধ্বস্ত মানাচরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকায় পৌঁছে হঠাৎ কনভয় থামিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। বৃষ্টির মধ্যে হেঁটে চলে যান দামোদরের ধারে। সেখানে দাঁড়িয়ে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিস্থিতি দেখেন। সেই স্রোত দেখে বেজায় চটেও যান মুখ্যমন্ত্রী।দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি)-এর উপরে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাজ্যটাকে ডুবিয়ে ছাড়বে। আর কাকে কাকে ডোবাবে জানি না। যে ভাবে জল ছাড়া হচ্ছে তাতে যেখান থেকে জল নামতে শুরু করেছে সেখানে আবার জল বাড়তে পারে।’ এর পর দু’হাত তুলে নমস্কার করে উঠে পড়েন গাড়িতে।
এ দিন দুর্গাপুর ব্যারাজ সংলগ্ন বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের সীতারামপুর মানাচরে এসে বাসিন্দাদের ত্রাণ বিলি করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেই মতো দামোদরে ধারে বালির চড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছনোর ২০ মিনিট আগেই আকাশ কালো করে বৃষ্টি শুরু হয়। বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় যুব আবাসে। ঠিক হয়, ওই আবাসেই ত্রাণ সামগ্রী দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে যুব আবাসের আগেই গাড়ি থেকে নেমে বৃষ্টি মাথায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার দৃশ্য দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে দেখতে স্থানীয়দের অনেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁদের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরে যুব আবাসে পৌঁছে জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি খুব খারাপ। আকাশের মুখ গোমড়া। আবার বৃষ্টি হবে। তার মধ্যে ডিভিসি জল ছেড়ে যাচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে। জলবাহিত রোগের ওষুধ মজুত করার পাশাপাশি বাসিন্দাদের যাতে কোনও অসুবিধা না-হয় সে দিকেও নজর রাখতে হবে।’
যুব আবাসে আসা বাসিন্দাদের ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে রাত্রিবাসের জন্য দুর্গাপুরে সার্কিট হাউসে আসেন। মঙ্গলবার সকালে বীরভূমে যাবেন মমতা।