কলকাতায় নেমেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অনুব্রত। তিনি জানান শারীরিক সমস্যার কথা। পায়ে ও কোমরে ব্যথার কথাও জানান। এদিন কেষ্ট বলেন, 'আমি ভালো আছি। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের আর্শীবাদে সুস্থ আছি। দিদির পাশে আছি।' রাতেই মেয়ে সুকন্যাকে নিয়ে রাজ্যে বীরভূমের কেষ্ট। প্রস্তুত সিউড়ির তৃণমূলের পার্টি অফিস। গত শুক্রবার জামিন পেলেও আইনি কারণে মুক্তি পেতে অপেক্ষা করতে হয় কেষ্টকে।
২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডিও। পরের বছর তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করে ইডি। এর পর তিহাড়ে ঠাঁই হয়েছিল বাবা-মেয়ের। কিছু দিন আগে সিবিআইয়ের করা মামলা থেকে জামিন পান অনুব্রত। তবে ইডির মামলায় জেলবন্দি ছিলেন। গত শুক্রবার সেই মামলাতেও জামিন পান তিনি। কিন্তু আইনি জটে আটকে ছিল তিহাড় জেল থেকে মুক্তি। সোমবার সেই বাধাও কেটে গেল। অবশেষে প্রায় দু’বছর পর জেল থেকে মুক্তি পেলেন তিনি।
অনুব্রতের আগে জামিন পেয়েছিলেন তাঁর কন্যা সুকন্যাও। মঙ্গলবার মেয়ের হাত ধরে নিজের জেলা বীরভূমে পা রাখতে পারেন অনুব্রত। ঘটনাচক্রে জেলার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে ওই দিন বীরভূমে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীরও। এই আবহে দলনেত্রীর সঙ্গে কি অনুব্রতের সাক্ষাত্ হতে পারে? গ্রেফতারের সময় কেষ্ট দলের বীরভূম জেলার সভাপতি। তবে তাঁর অনুপস্থিতিতে মমতা কোর কমিটি গড়ে দেন বীরভূমে। যার দেখভাল করার দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধেই তুলে নেন। সেই কমিটিই পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে লালমাটির জেলায় দলের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখে।
কমিটিতে রয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ ও বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। যাঁদের সঙ্গে কেষ্টর সম্পর্ক মিঠেকড়া। অনুব্রত বন্দি থাকাকালীন কাজল বা শতাব্দী দুজনেই অবশ্য বার বার তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু কেষ্ট স্বমহিমায় ফিরলে তাঁদের সঙ্গে সমীকরণ কী হবে? জেলার কোর কমিটির কী হবে? মমতা কি ফের কেষ্টর হাতে তুলে দেবেন সংগঠনের লাগাম? অনুব্রতের ঘর ওয়াপসি পর্বে এমন নানা প্রশ্ন উঠছে কর্মীদের একাংশের মধ্যে।