ধাক্কাধাক্কিতে ভাঙল শ্যালকের চশমা, নতুন গড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস কেষ্টর
এই সময় | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
'ধাক্কা ধাক্কিতে আমার চশমাই ভেঙে গেল', বাড়ি ফিরতেই অনুব্রতকে অনুযোগ তাঁর শ্যালক আনন্দ গোপাল ঘোষের। অদূরে দাঁড়িয়ে জামাইবাবু কেষ্টও হালকা ছলে জবাব দিলেন, ‘আমি তো আছি! তোমাকে নতুন চশমা গড়িয়ে দেব।’ দু’জনের ঠোঁটেই হালকা হাসি!গোরু পাচার মামলায় জামিন পেয়ে মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ বোলপুরে নিচুপট্টিতে নিজের বাড়িতে পা রেখেছেন অনুব্রত ও সুকন্যা মণ্ডল। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য বাড়ির সামনে জড়ো হন বহু অনুগামী। কারও গায়ে ছিল 'ওয়েলকাম বাঘ' লেখা টি-শার্ট, কারও হাতে ফুলের মালা। দীর্ঘ সময় তিহাড় জেলে থাকার জন্য অনুব্রত বা সুকন্যা-কারও সঙ্গে দেখা হয়নি পরিবারের সদস্যদের। প্রায় ২ বছর পর তাঁদের ফেরার খবর শুনে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বোলপুরে জামাইবাবুর বাড়িতে হাজির হন অনুব্রত মণ্ডলের শ্যালক আনন্দ।
কিন্তু অনুব্রতর অনুগামীদের ঠেলাঠেলিতে তাঁর চশমাই ভেঙে যায়। বাড়ির ভিতরে গিয়ে জামাইবাবু এবং ভাগ্নিকে দেখে খুশিতে আপ্লুত হন আনন্দ। রসিকতার সুযোগটুকু হাতছাড়া করতে চাননি আনন্দ।
অনুব্রতর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ধাক্কাধাক্কিতে আমার চশমাটাই ভেঙে গেল। ২ হাজার টাকা দেবে, চশমা গড়াব।’ কেষ্টও হালকা ছলে জবাব দেন, ‘তোমার চিন্তার কী রয়েছে! ২ হাজার নয়, ৫ হাজার টাকা দিয়ে চশমা গড়িয়ে দেব। আমি এসে গেছি, তোমার চিন্তা নেই।’ দু’জনের মুখেই হালকা হাসি। সুকন্যা জামিন পাওয়ার পর থেকেই ভাগ্নিকে দেখার জন্য আকুল ছিলেন আনন্দ গোপাল ঘোষ। সুকন্যার পরে জামিন পান অনুব্রত। প্রায় দু’বছর পর তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ আনন্দর।
বাড়িতে পা দিয়েই অনুব্রতর চোখে জল চলে আসে। অন্দরমহলের বাইরে নিজের পুরনো চেয়ারে বসে আগের চেনা মেজাজে তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ এবং চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তিনি। তাঁর ওজনও কমেছে বিস্তর। অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, তাঁর কোমরে ব্যথা। বাড়ি ফিরে তিনি লাল চা এবং ওআরএস খেয়েছেন বলে সূত্রের খবর।