সকাল থেকেই অনুব্রতর নীচুপট্টির বাড়ি ঘিরে ছিল নিরাপত্তা। কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে ঠাসা ছিল তাঁর বাড়ির আশেপাশের এলাকা। সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে আবেগে চোখে জল গড়িয়ে পড়ে কেষ্টর। তাঁর বাড়ির সামনে সকাল থেকেই অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দের সাথে অপেক্ষা করছিলেন বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এবং সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক ও বীরভূম জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। অনেকেই কেষ্টর ঘরে ঢুকতে পারলেও, সেখানে প্রবেশের অনুমতি পেলেন না এই দু' জন। তাঁদের ঢোকার সময় সরাসরি হাত নাড়িয়ে বারণ করে দিলেন খোদ কেষ্টই। সূত্রের খবর রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিকাশ রায়চৌধুরীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরিস্থিতির জেরে, দেখা না করেই ফিরে যান চন্দ্রনাথ সিনহা ও বিকাশ রায় চৌধুরী।
অনুব্রত মণ্ডলের ফেরার পর থেকে বীরভূম জেলার রাজনীতিতে পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। মঙ্গলবার সকালে এই দু' জনের বাড়িতে প্রবেশ করতে না পারায় সেই সম্ভাবনা আরও জোরালো হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আজকের এই ঘটনা বীরভূম জেলা রাজনীতিতে আসন্ন পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। যদিও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, 'আমার সঙ্গে ওঁর কথা হয়েছে, উনি পরে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন।' এর মধ্যে, বোলপুরের অন্যতম কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষকেও কেষ্টর বাড়ির ভেতরে দেখা যায়, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। যদিও এখনও পর্যন্ত দেখা মেলেনি বীরভূম জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের।