পুজোয় ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে সুলভ শৌচালয়, রাত ৩ টে থেকে মিলবে জল, সিদ্ধান্ত বৈঠকে
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। পুজোকে ঘিরে প্রতিবছরই ব্যাপকভাবে বেআইনি পার্কিংয়ের অভিযোগ ওঠে। এবার দুর্গাপুজোয় বেআইনি পার্কিং রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে পুরসভা। পাশাপাশি শহরের সমস্ত সুলভ শৌচালয় ২৪ ঘণ্টা ধরে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাক পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে কলকাতা পুরসভায় একটি জরুরি বৈঠক হয়। তাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে পুজোয় দর্শনার্থীদের সুবিধা এবং পুজো সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ঠিক হয়েছে তৃতীয়া থেকে দশমী পর্যন্ত কলকাতায় যতগুলি সুলভ শৌচালয় রয়েছে সেগুলি সব সময়ের জন্য খোলা থাকবে। এছাড়াও, মহালয়া থেকে রাত ৩টে থেকে জল পাওয়া যাবে। বৈঠক শেষে কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানান, কলকাতা পুরসভা পুজোর সময় এক সপ্তাহ ধরে রাত ৩টে থেকে পানীয় জল দেবে। সাধারণত পুজোয় সারা রাত ধরেই কলকাতার পুজো মণ্ডপগুলিতে থিকথিকে মানুষের ভিড় হয়। তাই দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে সুলভ শৌচালয়গুলি আগামী ৫ অক্টোবর তৃতীয়া থেকে ১২ অক্টোবর দশমী পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। পাশাপাশি শহরজুড়ে থাকবে আরও ৪০০ বায়োটয়লেট।
এদিকে, অবৈধ পার্কিং নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। সাধারণত পুজো মণ্ডপের আশপাশে বেআইনি ভাবে পার্কিং করিয়ে টাকা আদায় করার অভিযোগ ওঠে। এবার যাতে পুজোয় এই ধরনের অবৈধ পার্কিং বন্ধ করা যায় তারজন্য ডিজি ট্র্যাফিককে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। তাছাড়া স্কুলের সামনে যাতে বেআইনি পার্কিং বন্ধ করা যায় সেবিষয়টিও দেখতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, পুজোর সময় বেশ কিছু অসামাজিক কাজ কর্ম চালানোর অভিযোগ উঠে থাকে। তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। আর পুজোর আগে বেশ কিছু রাস্তার মেরামতি করার প্রয়োজন বলেও বৈঠকে উঠে এসেছে। দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনে সুবিধার জন্য রতনবাবুর ঘাট মেরামতির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। উল্লেখ্য, এই ঘাটে প্রায় ১,২০০ টি মতো প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার পুরসভায় এই বৈঠক হয়েছে তাতে মেয়র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সব দফতরের আধিকারিকরা, বরোগুলির চেয়ারম্যান, মেয়র পারিষদেরা। পুজোর সময় মণ্ডপগুলিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ রাখতে বলা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিইএসসির কর্তারা। তাঁদের এবিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তাছাড়া কোনও ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটলে যাতে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সেবিষয়ে দমকলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় এদিনের বৈঠকে।