এই সময়, শিলিগুড়ি: বোনাস নিয়ে জটিলতা শুরু হয়েছে তরাই ও ডুয়ার্সে। সম্প্রতি চা-বাগানের শ্রমিকদের জন্য ১৬ শতাংশ হারে বোনাস ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু চা বাগানের শ্রমিক এই ঘোষণায় সন্তুষ্ট নন। আবার বেশ কিছু বাগান মালিক ওই হারে বোনাস দিতে রাজিও নয়। ইতিমধ্যে ডুয়ার্সের কয়েকটি চা বাগানে আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে ডুয়ার্সের বাতাবাড়ি-সহ কয়েকটি চা বাগানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার (টাই) আশঙ্কা, এই প্রবণতার জেরে চা বাগান মালিকেরা সাসপেনশন অফ ওয়ার্কস ঘোষণা করতে পারেন।
পাহাড়ে এখনও বোনাস চূড়ান্ত হয়নি। শ্রমিকেরা গত বছরের মতোই ২০ শতাংশ হারে বোনাস দাবি করলেও মালিকপক্ষ তেমন কোনও উচ্চবাচ্য করছেন না বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে ২৭ সেপ্টেম্বর প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছেন পার্বতীয় চা শ্রমিক সমন্বয় মঞ্চ। ফলে পুজোর মুখে বোনাস নিয়ে তরাই, ডুয়ার্স এবং পাহাড় উত্তপ্ত হতে চলেছে।টাইয়ের সেক্রেটারি জেনারেল প্রবীর ভট্টাচার্য বলেন, ‘পাঁচ দফা বৈঠকের পরে চা শিল্পের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করেই ১৬ শতাংশ বোনাস ধার্য করা হয়। তারপরেও আন্দোলন হলে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কস ছাড়া মালিকদের সামনে অন্য পথ আর কী থাকতে পারে?’
টাইয়ের সেক্রেটারি জেনারেলের এই বক্তব্যকে ‘দুভার্গ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন সিটু নেতা তথা সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক সমন পাঠক। তিনি বলেন, ‘চা শ্রমিকদের পরিস্থিতিও বিচার করা উচিত। বেশ কিছু চা বাগান ১৬ শতাংশ হারে বোনাস দিতে রাজি হচ্ছে না। ফলে ক্ষোভ হওয়াটা স্বাভাবিক। এই পরিস্থিতিতে বাগান-বন্ধের হুমকি দুভার্গ্যজনক।’ তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের নেতা নির্জল দে মনে করেন, ‘বোনাস ইস্যুতে মালিকপক্ষকে সহনশীল হওয়া উচিত।’
গত বছর তরাই ও ডুয়ার্সে বোনাস হয় ১৮ শতাংশ। তার পরেও বেশ কিছু চা বাগানের মালিক বোনাস দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। জিটিএ চিফ অনীত থাপা বলেন, ‘বোনাস তো দিতেই হবে। শ্রমিকেরা বোনাসের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন।’