এবার ‘ছুটি’তে যাওয়া ২ মহিলা ডাক্তারকে জেরা করল সিবিআই
বর্তমান | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় এবার সিবিআইয়ের নজরে হাসপাতালের দুই মহিলা চিকিৎসক। ঘটনার পর থেকে তাঁদের খোঁজ মিলছিল না। মঙ্গলবার দু’জনেই সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের মুখোমুখি হন বলে সূত্রের খবর। গোটা ঘটনায় তাঁদের যোগসূত্র কী, সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
অভয়া খুনে কারা জড়িত এবং ষড়যন্ত্রী কারা, তদন্তের শুরু থেকে খুঁজে চলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তরুণীর সঙ্গে ওই রাতে ডিউটিতে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও বড় কোনও ক্লু পাননি তাঁরা। এক নার্স তদন্তকারীদের কাছে জানিয়ে যান, তরুণীকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেমিনার হল থেকে। এখান থেকে তদন্ত অন্যদিকে মোড় নেয়। এজেন্সি জানতে পারে, অভয়াকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এক মহিলা চিকিৎসকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এর মাঝে তদন্তকারীদের সন্দেহ বাড়ায় দুই মহিলা চিকিৎসক ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে ডিউটিতে না আসায়। প্রথমে তাঁরা জেনেছিলেন ওই দু’জন ছুটিতে গিয়েছেন। এই সংক্রান্ত কাগজপত্র হাসপাতালের কাছ থেকে চাওয়া হলেও তাঁরা তা পাননি বলে অভিযোগ। আর কেনই বা তাঁরা আসছেন না, এই নিয়ে রহস্য বাড়তে থাকে। এরই মাঝে তদন্তকারী টিম তাঁদের খোঁজ পান। সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় নোটিস পাঠিয়ে বলা হয় ২৪ সেপ্টেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে। সেইমতো তাঁরা এদিন হাজিরাও দেন। তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, অভয়াকে চিনতেন কি না এবং কোনওদিন তাঁর সঙ্গে সমস্যা হয়েছিল কি না! রাত্রে তাঁরা একসঙ্গে কতদিন ডিউটি করেছেন, জানতে চান তদন্তকারীরা। এমনকী তরুণী চিকিৎসক কোনও বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠে আসে। একইসঙ্গে ৯ আগস্ট তাঁদের ডিউটি কখন থেকে ছিল সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে বলে খবর। দু’জনেই যা উত্তর দিয়েছেন, তা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিনও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস হাজিরা দেন সিজিওতে।
অন্যদিকে, আর জি করে ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃত ৪৫ জনের জামিনের আর্জি ফের নাকচ করে দিল আদালত। মঙ্গলবার তাদের শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়। তাদের জামিনের আর্জিতে সরকারি কৌঁসুলি জোরালো আপত্তি জানান। অভিযুক্তদের তরফে বলা হয়, এই মামলায় নতুন কোনও অগ্রগতি নেই। একই বক্তব্য ঘুরিয়ে‑ফিরিয়ে আদালতের কাছে পেশ করা হচ্ছে। তাই যেকোনও শর্তে এই অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া হোক। মামলার কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখে বিচারক ধৃতদের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এদিনও জামিন না মেলায় কয়েকজন অভিযুক্তের বাড়ির লোকজন কোর্ট চত্বরের বাইরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।