সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের হাটগাছা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গদাইপুর মাইতিপাড়ায়। মৃতার নাম কল্যাণী মাইতি। তিনি ছিলেন হাটগাছা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা এবং স্বাগতম স্বনির্ভর গোষ্ঠীর গ্রুপ লিডার। কল্যাণীদেবীর পরিবারের অভিযোগ, আরেকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সভানেত্রী অপর্ণা দাস কল্যাণী মাইতির কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ধার নিলেও তা পরিশোধ করছিলেন না। সম্প্রতি অর্পণা সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে। এরপর সোমবার রাতে কল্যাণী মাইতি নিজের ঘরেই আত্মঘাতী হন। মৃতার ছেলে সৌরভ মাইতি উলুবেড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উলুবেড়িয়া থানার পুলিস মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পাশাপাশি একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত অপর্ণা দাস পলাতক।
হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাটগাছা মিলন সঙ্ঘ নামে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে। যার সভানেত্রী অপর্ণা দাস। ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অধীনে প্রায় দুই শতাধিক ছোট ছোট স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। যার মধ্যে একটি হল স্বাগতম স্বনির্ভর গোষ্ঠী। যার গ্রুপ লিডার ছিলেন কল্যাণী মাইতি। মৃতার ছেলে সৈকত মাইতি অভিযোগ করেন অপর্ণা দাস ও মা দু’জন বন্ধু ছিলেন। সেই সুবাদে অপর্ণা দাস মায়ের কাছ থেকে কয়েক দফায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ধার নেন। মা ওই টাকা স্বাগতম স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের থেকে নিয়ে অপর্ণা দাসকে দিয়েছিলেন। সৈকতের অভিযোগ, গোষ্ঠীর সদস্যদের ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য মা অপর্ণাদেবীকে অনেকবার ঋণের টাকা ফিরিয়ে দিতে বলেন। কিন্তু তিনি টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। সম্প্রতি তিনি ঋণ নেওয়ার কথাও অস্বীকার করেন। সৈকতের দাবি, সোমবার রাতে সেকারণেই মা আত্মঘাতী হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্বাগতম স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা অপর্ণা দাসের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান। অন্যান্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরাও ওই বিক্ষোভে শামিল হন। তাঁরা ন্যায়বিচারের দাবি জানান। পরে উলুবেড়িয়া থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।