গত শুক্রবার সামুদ্রিক ঝড়ের মুখে পড়ে পাদুরিদের ট্রলার। মোট ১৭ জন মত্সজীবী ছিলেন ওই ট্রলারে। এদের মধ্যে ৮ জনকে জীবিত ও ৮ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রশাসন। কিন্তু এখনও নিখোঁজ পাদুরি দাস। পরিবারের আশা ছিল মৃত ৮ জনের মধ্যে হয়তো পাওয়া যাবে বৃদ্ধ পাদুরিকে। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। গত রবিবার থেকে কাকদ্বীপ পুলিস মর্গের সামনে বসে রয়েছেন পাদুরির ছেলেমেয়ে।
সংসারে ছেলেমেয়েদের মুখে হাসি ফোটাতে ৬৬ বছর বয়সেও গভীর সমুদ্রে গিয়েছিল মাছ ধরতে গিয়েছিলেন পাদুরি। বহুদিন ধরেই ওই কাজ করে আসছেন। কিন্তু এমন ভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হবে এ কথা কোনদিনই ভাবতে পারেনি পরিবার। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে অভাবের সংসার পাদুরির।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে পাদুরি দাসের দেহ খোঁজার। ইতিমধ্যেই শাসকদলের পক্ষ থেকে বেশ কিছু টাকা অনুদানও দেওয়া হয়েছে পাদুরি দাসের পরিবারকে। কিন্তু একে একে জীবিত-মৃত সমস্ত মৎস্যজীবী ফিরলেও ফিরলেন না পাদুরি। আশায় বসে রয়েছে পরিবার। তাদের বাবা জীবিত নাকি মৃত সেই উত্তরও প্রশাসনের কাছে নেই।
মৃত মৎস্যজীবী পরিবারদের রাজ্য সরকার আর্থিকভাবে সাহায্য করেন। বেশ কিছু মৎস্যজীবী পরিবারের যারা আত্মীয়হারা হয়েছে তাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার দায়িত্বের পাশাপাশি যাতে কোনভাবে পরিবার সমস্যা না পড়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।