হাই ভোল্টের বিদ্যুতের টাওয়ারে উঠে পড়লেন এক যুবক। হুলস্থুল কাণ্ড আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থানা এলাকায়। পুলিশ ও দমকল বাহিনীর উদ্যোগে ওই যুবককে নামিয়ে আনা হয়। বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় যুবক।বুধবার তখন সকাল ৬.০৫। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থানার ধনিরামপুর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওমালি এলাকার ভাটিয়াপাড়ার এক যুবক হঠাৎ টাওয়ারে উঠে পড়ে। যুবকের নাম বিপ্লব রায়। প্রায় ৩৩ হাজার ভোল্টের হাই টেনশন টাওয়ারের মাথায় উঠতেই বিষয়টি লক্ষ্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যুবককে নেমে আসার ব্যাপারে অনুরোধ করলেও অদ্ভুত দাবি করতে থাকে সেই যুবক। বাড়ি থেকে বিয়ে না দেওয়ার জন্যেই যুবক ওই টাওয়ারে উঠে পড়েছে বলে দাবি করে। ‘বিয়ে পাগল’ যুবকের কাণ্ড দেখে অবাক হয়ে যান সকলেই।
ঘটনা জানাজানি হতেই জটেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ির ওসি যোগাযোগ করেন শিলিগুড়ির পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। বিচ্ছিন্ন করা হয় ওই টাওয়ারের বিদ্যুৎ সংযোগ। এরপর ওই যুবক আরও ওপরে উঠতে শুরু করে। ছুটে যান পুলিশ কর্তা থেকে দমকল বাহিনীর আধিকারিকরা।
ততক্ষণে টাওয়ারের নীচে ভিড় জমান শয়ে শয়ে মানুষ। উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশ কর্মীদের। রীতিমতো হ্যান্ড মাইক নিয়ে ওই যুবককে নীচে নেমে আসার অনুরোধ জানাতে থাকেন পুলিশ ও দমকল কর্তারা। কিন্তু, সে যুবক নাছোড়বান্দা। সে দাবি জানায় যে, তাঁর বাবাকে আসতে হবে। তাঁকে বিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে অঙ্গীকার করতে হবে। বিপদ বুঝে পুলিশ কর্তারা ছুটে যান ওই যুবকের বাড়িতে।
ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় যুবকের বাবা ভবেশ্বর রায়কে। বিপ্লবের বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি মহকুমার সাকোয়াঝোরা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানপাড়ায়। প্রায় দু’ঘণ্টা পর বাবা দেওমালিতে পৌঁছে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিলে টাওয়ার থেকে নেমে আসে বিপ্লব। শেষ হয় দু’ঘণ্টার টান টান উত্তেজনার। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পুলিশ কর্তারা। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে উপস্থিত জনতাও। শেষে ওই ‘বিয়ে পাগল’ যুবককে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়ার পরেই বাবা ছেলেকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসে পুলিশ।