• উচ্চ প্রাথমিকে ১৪০৫২ নিয়োগে প্যানেল আজ
    এই সময় | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • এই সময়: দুর্গাপুজোর আগেই উচ্চ প্রাথমিক স্তরে রাজ্যের স্কুলে ১৪,০৫২ জন শিক্ষক নিয়োগের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ গত ২৮ অগস্ট একলপ্তে এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (এসএসসি)।ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের চার সপ্তাহ বা ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্যানেল প্রকাশ, তার চার সপ্তাহ বা ২৩ অক্টোবরের মধ্যে কাউন্সেলিং সম্পন্ন করে সুপারিশপত্র প্রদান এবং তার চার সপ্তাহ বা ২১ নভেম্বরের মধ্যে নিয়োগ নিশ্চিত করতে বলেছিল হাইকোর্ট।

    কিন্তু ওই নির্দেশ অবৈধ ও সংরক্ষণ-নীতির পরিপন্থী—এমন দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের তরফে দাবি করা হয়, ‘কাট অফ মার্কসের’ থেকে বেশি নম্বর থাকা সত্ত্বেও ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়নি তাঁদের। যদিও ওই বক্তব্য আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। পাল্টা রাজ্যের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্তা জানিয়ে দেন, টেট-এর মার্কস শেষ কথা নয়।

    নিয়োগে পার্সোন্যালিটি টেস্ট, ইন্টারভিউয়ের নম্বরও গুরুত্বপূর্ণ। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করা হবে না। ফলে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগে আর বাধা রইল না। সুপ্রিম কোর্টে মামলা হওয়ায় নতুন করে জটিলতার যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা কেটে গেল। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নতুনদের আবেদন আপাতত শোনা হবে না। মূল মামলাকারীদের যদি কোনও বক্তব্য থাকে, তা হাইকোর্টই শুনবে।

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের আগেই সোমবার ১৪,০৫২ পদে নিয়োগ-প্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসএসসি জানিয়েছিল, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বুধবার প্যানেল প্রকাশ করা হবে। তবে যে ৯৫ জন প্রার্থীর জাতিগত শংসাপত্র ও শিক্ষাগত যোগ্যতায় ভুল আছে, তাঁদের নাম তালিকায় নাও থাকতে পারে। উচ্চ প্রাথমিকে ২০১৫ থেকে নিয়োগ থমকে রয়েছে। একাধিক ত্রুটির অভিযোগে হাইকোর্টে মামলার জেরেই নিয়োগ প্রক্রিয়া বার বার স্থগিত হয়েছিল। উচ্চ আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ ২০২০-র ১১ ডিসেম্বর নিয়োগ প্যানেলই বাতিল করে দেয়।

    তার পর ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশের অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। আপিল ডিভিশন বেঞ্চে গেলে উচ্চতর বেঞ্চ জানায়, প্যানেল প্রকাশ করা যেতে পারে। তবে এসএসসি কাউকে নিয়োগের সুপারিশপত্র দিতে পারবে না। এর পর মামলা যায় নতুন ডিভিশন বেঞ্চে। চলতি বছর ১৮ জুলাই বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়। ২৮ অগস্ট ঘোষণা হয় রায়। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, আদালতের রায় অনুযায়ী আজ শুধু প্যানেল প্রকাশ করলেই হবে না। নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করতে হবে।
  • Link to this news (এই সময়)