অভিযোগে লেখা হয়েছে, সুদীপ্ত রায়, যিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ রোগীকল্যাণ সমিতির তৎকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন, এমএসভিপি অঞ্জন অধিকারী এবং আরও কয়েকজন আধিকারিক মিলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে যে আর্থিক দুর্নীতি করেছেন, সেগুলি আরজি করের মতো তদন্ত হওয়া উচিত। অভিযোগকারী আরও জানিয়েছে, 'সরকারি কোষাগার ব্যবহার করে কলকাতা মেডিক্যালের জন্য কেনা জিনিসপত্র ডা. সুদীপ্ত রায়ের নিউ সারাজু নার্সিংহোমে এবং তাঁর স্ত্রীর ক্লিনিক্যাল ল্যাব ও খুচরো ওষুধের দোকানে পাচার করা হত।' সুদীপ্ত মেডিক্যাল কলেজের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের তাঁর নার্সিংহোমে কাজ করতে বাধ্য করতেন। রোগীদের সুদীপ্তর নার্সিংহোমে পাঠানো, হাসপাতালের ভিতরে টাকার বিনিময়ে বেআইনি দোকান বসানো থেকে শুরু করে কমিশনের বিনিময়ে বেসরকারি ল্যাব থেকে হাসপাতালের রোগীদের রক্তপরীক্ষা, সবই রয়েছে সেই অভিযোগপত্রে। অভিযোগকারী আরও লিখেছেন, বসির মিয়াঁ নামের স্থানীয় এক ব্যক্তিকে সুদীপ্ত রায় বেআইনি ভাবে এমএসভিপি অফিসে নিয়োগ করেন। কোনও কর্মী যদি এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলত তাহলে বসির তাঁদের ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দিত। বসির হাসপাতালের ৩নং গেটের কাছে 'গণপতি জেরক্স কাউন্টার' চালাত। সুদীপ্ত ও অঞ্জন অধিকারী মিলে বেআইনিভাবে বেশ কিছু মেডিক্য়াল কোর্সে ভর্তি করত।
অভিযোগকারী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, 'আমি যা লিখেছি তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র'। এর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন যে, আরজি কর হাসপাতালের যন্ত্রপাতি নিজের নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়েছেন সুদীপ্ত। এই প্রসঙ্গে সুদীপ্ত রায় বলেছিলেন, "১৯৮৪ সালে আমি নার্সিংহোম তৈরি করি। বাম আমলে তিলে তিলে এটাকে দাঁড় করিয়েছি। যে কেউ আমার নার্সিংহোমে গিয়ে যাচাই করতে পারেন, আমি এমন কিছু কাজ করেছি কি না।" বর্তমানে ফার্মাকোলজির অধ্যাপক অঞ্জন অধিকারী জানিয়েছেন, "আমি জানি এক মহিলা এরকম অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি বলতে পারি যে মেডিক্যাল কলেজ কলকাতা পুরোপুরি দুর্নীতিমুক্ত। আমার সাথে দুর্নীতির সাথে যুক্ত মানুষদের কোনও যোগাযোগ নেই।"