ভারত-চিন সম্পর্ক গোটা বিশ্বের জন্য জরুরি, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বার্তা বেজিংয়ের রাষ্ট্রদূতের
প্রতিদিন | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অর্ণব আইচ: গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ভারত-চিন সৌহার্দ্যের বার্তা দিলেন কলকাতায় নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত এইচ ই জু উই। এদিন নিজের বক্তব্যে চিন ও ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন উই। চিন-ভারত সম্পর্ক শুধু দুই দেশের জন্য নয়, বরং গোটা বিশ্বের অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পাশাপাশি ফের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন ভ্রমণের একশ বছর পূর্তির কথা উল্লেখ করেন চিনা রাষ্ট্রদূত। রাজ্যবাসীকে আসন্ন দুর্গোৎসবেরও শুভেচ্ছা জানান।
বক্তব্যের শুরুতে আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান উই। বলেন, “গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনে আপনাদের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত।” বিশেষ ভাবে চিনা সম্প্রদায়ের লোকেদের এবং চিনা-বিনিয়োগকৃত সংস্থাগুলিকে শুভেচ্ছা জানান বিদেশি রাষ্ট্রদূত। স্বাগত ভাষণে ইউ আরও বলেন, দীর্ঘকাল ধরে চিনের উন্নয়ন এবং চিন-ভারত বন্ধুত্বকে সমর্থন করে আসছে যারা, সেই বন্ধুদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই।
নিজের ভাষণে, গত ৭৫ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চিনের অগ্রগতির কথা জানান উই। কমিউনিস্ট চিন কীভাবে দারিদ্র থেকে সমৃদ্ধের পথে যাত্রা করেছে, সেকথা মনে করিয়ে দেন প্রতিবেশী দেশের দূত। গোটা পৃথিবীর আর্থিক উন্নয়নে ২০২৪-এর প্রথম অর্ধেই ৭০ বিলিয়ান মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে বেজিং। গত বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। সে কথাও মনে করিয়ে দেন উই।
চিন-ভারত সম্পর্কের বিষয়টি কেবল দুই দেশের জন্য নয়, এশিয়া মহাদেশ, এমনকী গোটা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বলেন চিনা রাষ্ট্রদূত। আরও বলেন, “চিন-ভারতের সুস্থ ও স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। দুই দেশের জনগণ এবং সমগ্র মানবজাতির ইতিবাচক ভবিষ্যতের জন্য নিয়ত চেষ্টা জরুরি।” পূর্বভারতের শহর কলকাতা থেকে চিনের কুনমিং শহরের দূরত্ব মাত্র দেড় হাজার কিলোমিটার, সেকথাও মনে করিয়ে দেন প্রতিবেশী দেশের প্রতিনিধি। দুই দেশের সম্পর্কে স্বচ্ছতার প্রসঙ্গে চিনা রাষ্ট্রদূত জানান, চলতি বছরে ইতিমধ্যে ৭০০০ চিনা ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন ভ্রমণের একশ বছর পূর্তির কথাও উল্লেখ করেন জো ইউ। আসন্ন দুর্গোৎসবের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানান চিনা রাষ্ট্রদূত। জানান, তিনি নিজেও এই উৎসবে অংশ নিতে চান। সব শেষে চিনের উন্নয়নের পাশাপাশি ভারত-চিনের দৃঢ় বন্ধুত্বের কামনা করেন কলকাতায় চিনের রাষ্ট্রদূত এইচ ই জু উই।