• ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন, ‘বলাগড় মাস্টার প্ল্যান’-এর দাবি সাংসদ রচনার
    এই সময় | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজের লোকসভা কেন্দ্রে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। নদী বাঁধ ভাঙন নিয়ে সাংসদকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের শুনে ‘বলাগড় মাস্টার প্ল্যান’ তৈরির ইচ্ছাপ্রকাশ করেন রচনা।বুধবার সকালে হুগলির শ্রীপুর বলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদরা কলোনি, মিলনগর গ্রামে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদের সামনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরা। গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে একের পর এক বাড়ি। পাড় ভাঙছে প্রতিনিয়ত। ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটে গ্রামবাসীদের। আজ সাংসদকে কাছে পেয়ে তাঁদের অসহায়তা ও দুর্ভোগের কথা জানান গ্রামের মহিলারা। যাঁদের বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে, তাঁদের আবাসের ঘর এখনও মেলেনি বলে অভিযোগ জানানো হয় সাংসদকে।

    গ্রামবাসী কল্যাণী কোলে, নির্মলা বারিকরা জানান, আগে যিনি সাংসদ ছিলেন, তাঁর আমলে বালি ও মাটির বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পরেই বালি ও মাটি ধুয়ে যায়। কিন্তু এ বার যদি আগের মতো একই ভাবে বাঁধ মেরামতি হয়, তবে কাজ বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন গ্রামের লোকজন। গ্রামবাসীরা জানান, তাঁরা চান শহরের মতো ইট, সিমেন্ট দিয়ে কংক্রিটের বাঁধ তৈরি হোক। তাঁদের আশঙ্কা, তাঁদের সম্বল সামান্য জমি। সেই জমিও যদি নদী গর্ভে তলিয়ে যায় তাহলে কীভাবে বাঁচবেন। অনেকেরই বাড়িতে একাধিক জায়গায় ফাটল ধরেছে। ঘরের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। মন্দিরও ভেঙেছে ভাঙনের জেরে।

    সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তিনমাস আগেও যেখানে দাঁড়িয়ে ভোটের প্রচার করেছি সেই জায়গা তলিয়ে গিয়েছে। কয়েকটি বাড়ি, রাস্তাও গঙ্গায় মিশে গিয়েছে। খুবই খারাপ অবস্থা। এলাকার মানুষকে ত্রাণ বন্টন করা হয়েছে। গঙ্গার ভাঙন রোধ বড় ব্যাপার। আমি লোকসভায় এ নিয়ে বলেছি। আবারও বলব। কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া হবে না। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের আদলে বলাগড় মাস্টার প্ল্যান করতে হবে।’ রচনার দাবি, ‘এর আগে যিনি সাংসদ ছিলেন তিনি কিছু করেননি। আমি চেষ্টা করছি।’

    এ দিন, বলাগড়ের মিলনগড় থেকে জিরাট আসার পথে চাষিদের কাছ থেকে ওল কেনেন রচনা। তিনি বলেন, ‘গলা ধরবে না তো, এত ওল কী হবে? একটাই যথেষ্ট। এখানে অনেক ওলের চাষ হচ্ছে, বাড়িতে নিয়ে যাব। বাড়িতে অনেক খাই।’
  • Link to this news (এই সময়)