• বাড়িতে ঢুকে অন্তঃসত্ত্বাকে মারধর করল বিজেপি, নন্দীগ্রামে আক্রান্ত দুই মহিলা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • এখন নির্বাচনের সময় না হলেও রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিল নন্দীগ্রামে। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে। এই হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। যদিও বিজেপির দাবি, এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। তৃণমূল কংগ্রেস করার ‘অপরাধে’ বিজেপির হামলার শিকার হলেন নন্দীগ্রামের দুই মহিলা বলে উঠল অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের রামচকে মহিলাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।

    এই ঘটনাকে প্রকাশ্যে নিয়ে এসে এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী তুলোধনা করা হয়েছে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। সুতরাং নন্দীগ্রামের এই ঘটনায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বয়াল–২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচক গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস করার ‘‌অপরাধে’‌ দুই মহিলাকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। বাড়িতে ঢুকে তাঁদের মারধর করা হয়। বাড়িও ভাঙচুর পর্যন্ত করা হয়েছে। এই মহিলাদের মধ্যে একজন আবার অন্তঃসত্ত্বা। যদিও এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। বিজেপির পাল্টা দাবি, রাজনীতির রং দেওয়ার চেষ্টা চলছে।


    এই ঘটনা যখন ঘটে তখন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বিশ্বজিৎ পাত্র বাড়িতে ছিলেন না। আর তার অনুপস্থিতির সুযোগে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে। প্রতিবাদ করতে গেলে পরিবারের দুই মহিলা অলকা পাত্র এবং সুষমা পাত্রকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সুষমাদেবী অন্তঃসত্ত্বা। এই হামলার পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা সুষমা দেবীকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুষমাদেবীর শাশুড়ি অলকাদেবীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পোস্ট করা হয়, ‘‌নন্দীগ্রামে অন্তঃসত্ত্বাকে মারধর করেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তার জেরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। আর শুভেন্দু অধিকারী নারী সুরক্ষা নিয়ে কলকাতায় কথা বলছেন।’‌ এটা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

    এছাড়া এই হামলার ঘটনায় পাঁচজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আগে হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুনীল বরণ জানা বলেন, ‘‌তৃণমূল করে বলে আমাদের কর্মীদের উপর বিজেপি নেতা–কর্মীরা হুমকি দিয়েছে। ওঁরা আমাদের কর্মীদের জরিমানা করেছিল ৬০–৮০ হাজার টাকা। কিন্তু তাঁরা কেউ জরিমানার টাকা দেননি। তাই ৬টি পরিবারকে ওরা বয়কট করেছে। আর রবিবার বাড়ির মহিলাদের মারধর করেছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’‌ পাল্টা বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ–সভাপতি প্রলয় পালের বক্তব্য, ‘‌রামচকে পারিবারিক বিবাদ ছিল দুটি পরিবারে। তাই সংঘর্ষ বাঁধে। তৃণমূল রাজনৈতিক রং দিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)