তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সৈনিক হাজি নুরুল পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি তিনি। সেই বছরই বসিরহাট থেকে জয়ী হয়ে সাংসদ হন তিনি। ২০১৪ সালে জঙ্গিপুর কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে লড়ে হেরে যান। ২০১৬ সালে তাঁকে হাড়োয়া বিধানসভায় প্রার্থী করেন মমতা। জয়ী হন তিনি। ২০২১ সালেও ওই কেন্দ্র থেকে ফের নির্বাচিত হন হাজি নুরুল।
২০২৪ সালে সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রেক্ষাপটে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে কে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন তা নিয়ে যখন জোর জল্পনা চলছে তখন পরীক্ষিত হাজি নুরুলের ওপরেই ভরসা রাখেন মমতা। এমনকী ভোটপ্রচারে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বসিরহাটে জিতে সন্দেশখালিতে যাব। বহিরহাটের প্রেসটিজ ফাইটে মমতাকে সসম্মনানে পাশ করিয়ে দেন হাজি নুরুল। যকৃতের ক্যান্সারে আক্রান্ত হাজি নুরুল সেভাবে প্রচারে বেরোতে পারেননি। প্রচার চলাকালীন বেশ কয়েকবার হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় তাঁকে। ভোটের পরেও কলকাতা ও দিল্লিতে একাধিকবার ভর্তি ছিলেন তিনি। বুধবার বেলা ১টা ১৫ মিনিটে দত্তপুকুরের বয়রা গ্রামে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাংসদ।