• আরজি করের ক্রাইম সিন থেকে ১৪ অগস্ট মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছিল CBI: রিপোর্ট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি করের ইমার্জেন্সি ভবনের চারতলার সেই অভিশপ্ত সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল একটি মোবাইল। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হল সংবাদ প্রতিদিনের একটি রিপোর্টে। সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ক্রাইম সিন থেকে সেদিন মিলেছিল একটি মোবাইল ফোন। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। যা ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। এর আগে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ব্লু টুথ হেডফোন উদ্ধার করেছিল। সেই সূত্রেই সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে ১৪ অগস্ট নাকি সেখানে তল্লাশি চালিয়ে একটি মোবাইল পেয়েছিল সিবিআই।



    রিপোর্ট অনুযায়ী, বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই মোবাইলটি আপাতত সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে রয়েছে। এই আবহে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই মোবাইলটি কার? পুলিশ ৯ অগস্ট সেই মোবাইল না পেলেও ১৪ অগস্ট কীভাবে সিবিআই সেটি পেল? এই সব একাধিক প্রশ্ন সামনে আসছে। তবে এই মোবাইল থেকে ঠিক কী তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে জানা গিয়েছে, মোবাইল ফোনটি পরীক্ষা করা হচ্ছে ফরেন্সিক ল্যাবে। ইতিমধ্যেই আরজি কর কাণ্ডে পুলিশের কার্যপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ময়নাতন্ত থেকে শুরু করে সেমিনার রুমে 'বহিরাগত' প্রবেশ নিয়ে অসন্তোষ দেখা গিয়েছে সিবিআইয়ে। সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়েছেন তথ্য প্রমাণ বিকৃতির কথ। এরই মাঝে মোবাইল বাজেয়াপ্ত হওয়ার এই তথ্যটি চাঞ্চল্যকর।


    এদিকে সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের মোবাইল ঘেঁটে সেখান থেকে বেশ কিছু অডিয়ো ক্লিপ উদ্ধার করা হয়েছ বলে দাবি করা হেছে সংবাদ প্রতিদিনের একটি রিপোর্টে। সেই সব অডিয়ো ক্লিপ থেকে খুনের মামলা সংক্রান্ত কিছু প্রমাণও হাতে এসে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এরই মাঝে সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্টে দাবি করা হল, বাজেয়াপ্ত ডিভাইসগুলি থেকে এমন একটি অডিয়ো ক্লিপ পাওয়া যায়, যেখানে সন্দীপ ঘোষকে অন্য একজনকে বলতে শোনা যায়, 'মেয়েটা বড্ড বাড়াবাড়ি করছে।' উল্লেখ্য, রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ব‌্যবহৃত সিরিঞ্জ, স‌্যালাইনের বোতল ফের ব‌্যবহার করা হচ্ছিল হাসপাতালে। এই দুর্নীতির কথা নাকি নির্যাতিতা জেনে গিয়েছিলেন। এই আবহে এই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)