১৮ মাস পর জেলা পার্টি অফিসে অনুব্রত, দলীয় কার্যালয় এখন শুধুই 'কেষ্টময়'
এই সময় | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রায় ১৮ মাস পর বোলপুরের পার্টি অফিসে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল। শরীর অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও বুধবার বিকেলে দলীয় কার্যালয় যান অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বোলপুরের ব্লক সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী, তৃণমূল নেতা আবদুল মান্নান-সহ শতাধিক কর্মী সমর্থক ও অনুগামীরা। এখন থেকে প্রায় প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য তিনি দলীয় কার্যালয় আসবেন বলে জানা গিয়েছে।অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের মাটিতে পা রাখতেই রাতারাতি বদলে যায় জেলা তৃণমূল কার্যালয়ের চিত্রটা। তাঁর গ্রেপ্তারির পরেই দলীয় কার্যালয়ে টাঙানো হয়েছিল কোর কমিটির ছবি। বুধবার সকালেই গোটা কার্যালয় জুড়ে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে কেষ্টদা’র ছবি।
অনুব্রত মণ্ডলের ফেরার খবর আসতেই নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বোলপুরের পার্টি অফিস। রং করা হচ্ছে দরজা, গ্রিল। অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কার্যত ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল বোলপুরের তৃণমূল পার্টি অফিস। সেই অর্থে আর পার্টি অফিসে আসতেন না অনেক তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। গত দু’দিনে সেই চিত্রটা বদলে গিয়েছে। বুধবার কার্যত গমগম করছে পার্টি অফিস চত্বর। অফিসের বাইরে গাড়ির লাইন। সবার মুখে একটাই কথা, ‘কেষ্ট দা ফিরেছেন, এবার খেলা হবে।’
২০১৮ সালে এই পার্টি অফিসের উদ্বোধন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলই। প্রায় প্রতিদিন নিয়ম করে পার্টি অফিসে আসতেন অনুব্রত। আলোচনা চলতো জেলা স্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। গত ১৮ মাসে সেই ছবি অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছিল। তবে, জেল থেকে ফেরার পরেই গোটা পার্টি অফিস যেন অনুব্রতময় হয়ে উঠেছে।
২০২২ সালের ১১ অগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়েছিল অনুব্রতকে। প্রথমে তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালে তাঁকে দিল্লিতে তিহার জেলে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারির পর থেকেই জেলা দায়িত্বে একটি কোর কমিটি গঠন করে দে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। গত দুই বছর জেলা সভাপতি পদ থেকেও অনুব্রত মণ্ডলকে অপসারণ করা হয়নি। জেলায় দলীয় কাঠামো কী হবে, সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে।