ঘটনা ঠিক কী? গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত তখন জেলে। লোকসভা ভোটের মুখে বীরভূমে বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক ৫ সদস্য়ের নয়া কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটি প্রভাব বেশি অনুব্রত ঘনিষ্ঠদেরই। বস্তুত, কোর কমিটিতে বাদ পড়েছিলেন অনুব্রত বিরোধী হিসেবে পরিচিত কাজল শেখ। পরে অবশ্য তাঁকে কমিটিতে নেওয়া হয়।
এদিকে গোরু পাচার মামলায় জামিন পেয়ে গিয়েছেন অনুব্রত। ১৮ মাস পর ফিরেছেন বীরভূমে। গতকাল, মঙ্গলবার তাঁর বাড়ির সামনে ছিল রীতিমতো উত্সবের মেজাজ। তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে কার্যত রাতারাতি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল কোর কমিটির সদস্য়দের ছবি। তার বদলে লাগানো হয়েছিল অনুব্রত ও মমতার ছবি। ফলে জেলায় তৃণমূলের কোর কমিটির ভবিষ্যত্ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই অনুব্রতর নীচুপট্টির বাড়ি ঘিরে ছিল নিরাপত্তা। অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দের সাথে অপেক্ষা করছিলেন বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এবং সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক ও বীরভূম জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। অনেকেই কেষ্টর ঘরে ঢুকতে পারলেও, সেখানে প্রবেশের অনুমতি পাননি এই দু'জন। তাঁদের ঢোকার সময় সরাসরি হাত নাড়িয়ে বারণ করে দেন খোদ কেষ্টই। এরপর আজ, বুধবার দলীয় কার্যালয়ে ডাক পান চন্দ্রনাথ সিনহা। তাঁর সঙ্গে দেখা করেন অনুব্রত। তবে সিউড়ি বিধায়ক এখনও ডাক পাননি বলে খবর।