স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গেছে,পেশায় রাজমিস্ত্রী প্রসেনজিৎ পরিবারের সঙ্গে ঘরেই ছিলেন। হঠাৎই গুলি চলার শব্দ হয়। পাশের ঘরে থাকা প্রসেনজিতের বাবা পরিমল বারুই ঘর থেকে বেরিয়ে ছেলের ঘরে গিয়ে দেখেন বৌমার গলার কাছ থেকে রক্ত গরিয়ে পড়ছে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বৌমা। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে কোন্নগর কানাইপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিস আগ্নেয়াস্ত্র সমেত মৃতার স্বামীকে আটক করেছে।
পরিমল বারুই জানান,তখন ছেলে,বৌমা ও নাতি ঘরে ছিল। পটকা ফাটার মত শব্দ হয়। প্রথমে ভাবি পটকা ফাটছে। পরে ছেলের ঘরে গিয়ে দেখি এই কাণ্ড। নাতির সামনেই এই ঘটনা। ছেলে বৌমায় খুব মিল ছিল। কোনও অশান্তি ছিল না। আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় পেল? এ প্রশ্নে বৃদ্ধ বলেন,সেটা জানিনা। কাদের সঙ্গে মিশত, বলতে পারব না। ছেলে বলল, বন্দুক দেখতে গিয়ে গুলি বেরিয়ে যায়।
সূ্ত্রের খবর আধুনিক অস্ত্র থেকে গুলি চালানো হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিসের কাছে সে দাবি করে যে পুকুরে কুড়িয়ে পেয়েছে অস্ত্র। চন্দননগর পুলিস কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান,খুনের অভিযোগ দায়ের করা হবে। মৃতদেহের ময়না তদন্তও ভিডিওগ্রাফি করা হবে। অভিযুক্তের দাবি খতিয়ে দেখা হবে। অত্যাধুনিক অস্ত্র পুকুর থেকে পেলে সেটা লোডেড থাকা সম্ভব না,যদি পেয়েও থাকে পুলিসকে জানায়নি কেন? সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।