দুই চিকিৎসককে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কোচবিহার মেডিক্যালে
এই সময় | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে। দুই চিকিৎসককে কলেজে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল বুধবার। কোচবিহারে -১ ব্লকের BMOH দ্বীপায়ন বসু এবং ওই ব্লকেরই আরেক চিকিৎসক সংবেদ ভৌমিককে কলেজে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে।কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ নির্মল কুমার মণ্ডল বলেন, ‘ছাত্রদের মেন্টর হয়ে তাঁরা মেডিক্যাল কলেজে দিনে রাতে অবাধ যাতায়াত করত৷ রাতে তাঁরা ছাত্রদের একাংশকে নিয়ে মিটিং করত গোপনে৷’ তাঁর দাবি, এই দুই বহিরাগত ও একাংশের মদতে উত্তেজিত করা হত মেডিক্যাল কলেজ পড়ুয়াদের৷
জানা গিয়েছে, বিএমওএইচ দীপায়ন বসু ও অপর চিকিৎসক সংবেদ ভৌমিক দু’জনে প্রভাব খাটিয়ে ছাত্রদের দিয়ে অশান্তি তৈরি করত৷ মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের বিভিন্ন সময়ে অভিযোগের ঘটনার পেছনে এই প্রভাবশালীদের মদত ছিল বলে অভিযোগ। বুধবার ছিল মেডিক্যাল কলেজের কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক৷ এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দীপায়ন বসু ও সংবেদ ভৌমিক আমাদের কলেজের সঙ্গে যুক্ত নন। ফলে তাঁরা কোনও অনুমতি ছাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকবেন না।
জানা গিয়েছে, ছাত্রদের একটা দল যারা সাধারণত কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ছাত্রদের স্বার্থে কাজ করে। কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেই থ্রেট কালচারের বিষয়গুলো উঠে আসছে। সেই কারণে ওই গ্রুপটিকে মেডিক্যাল কলেজ আর মান্যতা দেবেনা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এতদিন যাঁরা ছাত্র প্রতিনিধি ছিলেন তাঁদের আর মান্যতা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ৷ ক্লাস অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে এতদিন এই প্রভাবশালী ছাত্রদের একাংশ দায়িত্বে থাকলেও এখন থেকে যাঁরা পরীক্ষায় ভাল নম্বর পাওয়া রিপ্রেজেনটেটিভদের ক্লাস অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হবে৷ এছাড়াও জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ১৪০ টি ও মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে ৬০ টি নতুন সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷