উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করল এসএসসি, নির্দেশ ছিল হাই কোর্টের
আনন্দবাজার | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে প্রকাশিত হল উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের মেধাতালিকা। হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। যার ফলে ১৪ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করেনি। তার পরেই বুধবার মেধাতালিকা প্রকাশ করল এসএসসি।
উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার ৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল এসএসসির। কিন্তু বুধবার ১৩ হাজার ৯৫৯ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। কিন্তু ওই নির্দেশ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী, এই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। এর ফলে ১৪ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ নিয়ে আবার তৈরি হয় জট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, নতুনদের আবেদন শোনা হবে না। হাই কোর্টে মামলাকারীদের বক্তব্য শুনবে উচ্চ আদালত।
আদালতের দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী, এই মেধাতালিকা প্রকাশের জন্য বুধবারই ছিল শেষ দিন। তার আগেই তালিকা প্রকাশ করল কমিশন।
উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার ৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল এসএসসির। কিন্তু বুধবার ১৩ হাজার ৯৫৯ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছিল, ১৪,০৫২ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রায় ১০০ জনেরও বেশি এমন প্রার্থী রয়েছেন, যাঁদের ইন্টারভিউয়ের পরে তথ্যে গরমিলের জেরে নাম বাদ পড়েছিল। এ ছাড়াও এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁদের অ্যাকাডেমিক স্কোরে সমস্যা ছিল। সার্টিফিকেটের সঙ্গে তাঁদের নম্বর মিলছে না। আবার কেউ কেউ বিএড করেছেন নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরে। সর্বোপরি, বেশ কয়েক জন এমন প্রার্থীও রয়েছেন, যাঁরা প্রশিক্ষণহীন এবং বয়ঃসীমা অতিক্রান্ত। তাঁদের বাদ দিয়েই তালিকা প্রকাশ করা হল বুধবার।
উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি। পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালের ১৬ অগস্ট। ফলপ্রকাশ করা হয় ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে দু’বার মেধাতালিকা বাতিল হয়েছে দুর্নীতির অভিযোগে। অবশেষে তৃতীয় মেধাতালিকা প্রকাশিত হল বুধবার।
গত ২৮ অগস্ট বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়ে জানায়, উচ্চ প্রাথমিকে নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসিকে। তার ভিত্তিতে তারা কাউন্সেলিং করে চাকরিতে নিয়োগ করবে। আদালতের ওই রায়ের ফলে প্রায় ৮ বছর পরে ১৪,০৫২ পদে নিয়োগ শুরু করেছিল এসএসসি। এরই মধ্যে আবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। তৈরি হয় নতুন জটিলতা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর মেধাতালিকা প্রকাশের কথা জানিয়ে দিয়েছিল কমিশন। তবে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, শুধু মেধাতালিকা প্রকাশ করলে হবে না, নিয়োগ প্রক্রিয়াও শীঘ্র শুরু করতে হবে।