কলকাতা পুলিশের সদ্য বদলি হওয়া পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল আচমকাই এলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ বিধানসভায় আসেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্পিকারের দফতরে। সেখানেই প্রায় মিনিট ২০ তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন স্পিকার বিমান। বেলা ২টোর কিছু আগে স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে যান তিনি।
বিধানসভা ছাড়ার সময় এই বৈঠক প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি বিনীত। বর্তমানে তিনি এডিজি আইজিপি স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স পদে কর্মরত। ১৭ সেপ্টেম্বর পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরানো হয়েছে তাঁকে। গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে। ওই দিন থেকে কর্মবিরতিতে যান জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁরা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। সেই পাঁচ দফা মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিনীতের অপসারণ। পাশাপাশি ছিল ডিসি (উত্তর) অভিষেককেও অপসারণের দাবিও। সেই দুই দাবিই জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে মেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী। পরদিনই সরানো হয় বিনীতকে।
আর বুধবার বিনীত বিধানসভায় এলে বাংলার রাজনৈতিক মহলের একাংশে জল্পনা শুরু হয়। যদিও তাঁর বিধানসভায় আসার ঘটনাকে খুব গুরুত্ব দিতে নারাজ অনেকে। তবে বিধানসভার একটি সূত্রে জানাচ্ছে, বিধানসভার স্পিকার পেশায় আইনজীবী। তাই বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আইনি পরামর্শ করতেই বিধানসভায় এসেছিলেন তিনি। তবে তাঁর সঙ্গে বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন স্পিকার। প্রসঙ্গত, গত বছর বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের ধর্নার ঘটনার পর বিধানসভার সুরক্ষা বাড়িয়েছিলেন তৎকালীন কমিশনার। সেই সময়ও বেশ কয়েক বার বিধানসভা এসে স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কমিশনার পদে না থেকেও তিনি কী বিষয়ে আলোচনা করতে স্পিকারের কাছে এসেছিলেন, তা নিয়েই কৌতূহল বাংলার রাজনৈতিক মহলে।