• ‘থ্রেট কালচারে’ অভিযুক্তদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি–মারধরের অভিযোগ, তপ্ত আরজি কর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে আবার নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কদিন আগেই এই সমস্যা নিয়ে গোটা রাজ্যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। আর তারপরও একই রোগ দেখা গেল। আর তার জেরে অভিযুক্তদের তাড়া করলেন প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তাররা। মারামারি, ধাক্কাধাক্কি, জামার কলার ধরে চড়, থাপ্পড়, ঘুষি পর্যন্ত চলল বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে একজনের জামা ছিঁড়ে গিয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। অভিযুক্তরা ব্যাপক মারধর খেয়ে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন থেকে বেরিয়ে বাইরে যেতে পেরেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা নিরাপত্তায় থাকা সত্ত্বেও এই পরিস্থিতি হাসপাতাল চত্বরে হল কী করে?‌ উঠছে প্রশ্ন। জুনিয়র ডাক্তাররা একজোট হয়ে অভিযুক্তদের তাড়া করা হয়।

    আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় গোটা রাজ্য উত্তাল হয়েছিল। ধরনা, আন্দোলন থেকে উই ওয়ান্ট জাস্টিসের স্লোগান ওঠে। রাজ্যের প্রশাসনিক স্তরে বদল করতে হয়। তকনই সামনে আসে ‘‌থ্রেট কালচার’‌ চলে হাসপাতাল ও কলেজে। এবার আবার সেটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। এই বিষয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, আরজি কর হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচার’ চালিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতেন বহু চিকিৎসক। এসব প্রকাশ্যে আসার পর হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করে। চিহ্নিত করা হয়েছে ৫১ জনকে। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে আজ বুধবার তলব করা হয়েছিল। তাঁরা প্রশাসনিক ভবনে হাজিরা দেন। হাসপাতালে তাঁদের ঢুকতে দেখেই জুনিয়র ডাক্তাররা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। সেটাই পরে চরম পর্যায়ে পৌঁছয়।


    আজ রাতে তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হয়ে ফেরার সময় হাসপাতাল থেকে বেরোনোর চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। আর তখনই যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে পড়ে হাসপাতালের বাতাবরণ। থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে বারবার তাঁরা সরব হয়েছেন। এবার অভিযুক্তদের আগমন দেখে আগে থেকেই বিক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তাররা বাইরে জড়ো হয়েছিলেন। হাসপাতালের প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবন থেকে ৬ নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। তখন তাঁদের পিছনে ধাওয়া করেন বিক্ষোভ জুনিয়র ডাক্তাররা। সঙ্গে চলে ‘চোর চোর’ স্লোগান। সিআইএসএফ জওয়ানরা নিরাপত্তা দিয়ে তাঁদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেন।

    এই ঢোকা–বেরনোর মধ্যে চলে ধাক্কাধাক্কি, মারামারি, কলার চেপে ধরে কিল, চড়, ঘুষি এবং চড়–থাপ্পড়। জওয়ানদের হাত ছাড়িয়ে কেউ কেউ অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছে যান। এমনকী অভিযুক্তকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এক অভিযুক্তের জামা ছিঁড়ে গিয়েছে ধাক্কাধাক্কিতে বলে অভিযোগ। যদিও জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, তাঁরা কাউকে মারধর করেননি। শুধু তাড়া করা হয়েছিল এবং স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। এই বিষয়ে জুনিয়র ডাক্তার অনুভব মণ্ডল বলেন, ‘বড় একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে এই হাসপাতালে। ‘থ্রেট কালচার’ করার অভিযোগে যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁরা সকালে হাসতে হাসতে তদন্ত কমিটিতে ঢুকেছেন। এত স্পর্ধা এখনও আসে কী করে?‌ সেটা আমরা জানতে চাই। বাইরে বেরিয়ে ওঁরা নিজেরাই নিজেদের জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে আমাদের দোষ দিচ্ছেন।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)