সংবাদদাতা, বহরমপুর: জাতীয় সড়কে পণ্যবাহী লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বাইক চালকের। মৃতের নাম সেলিম শেখ(২৬)। ঘটনায় ওই বাইকের অপর দুই আরোহী গুরুতর জখম হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটে ১১নম্বর জাতীয় সড়কের বহরমপুর বাইপাসে। দুর্ঘটনার পর তিনজনকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়। জখম দুই বন্ধুর চিকিৎসা চলছে। মৃত ও জখম তিনজনেরই বাড়ি বহরমপুর থানার পর্বতপুরে। বহরমপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, ঘাতক গাড়িটি আটক করা যায়নি।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে তিনজন একটি বাইকে চেপে বেরিয়েছিল। কিন্তু কোথায় যাচ্ছে কিছুই জানিয়ে যায়নি। বাইপাস রাস্তা ধরে বহরমপুরের দিক থেকে সারগাছির দিকে যাচ্ছিল। পোল্লাডাঙা এলাকায় তাঁদের জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে জাতীয় সড়কের পেট্রলিং টিম। তারাই উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানেই মৃত্যু হয় সেলিমের। মৃতের এক আত্মীয় বলেন, জখম একজন ফোনে বাড়িতে খবর দিলে আমরা হাসপাতালে আসি।
অন্য একটি ঘটনায় কাশিমবাজার এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। রেললাইনের ধার থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় জিআরপি। মঙ্গলবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে শিয়ালদহ লালগোলা শাখার কাশিমবাজার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। মৃতের নাম রিন্টু দাস(২৭)। বাড়ি বহরমপুর থানার কাশিমবাজারে। বহরমপুর জিআরপি জানিয়েছে, এটি দুর্ঘটনা না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে বাড়ি থেকে বের হন রিন্টু। বেশ কিছুক্ষণ পর বাড়িতে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর আসে। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই যুবককে লাইনের ধারে পড়ে থাকতে দেখে জিআরপিকে খবর দেয়। মৃতের দাদা বিল্টু দাস বলেন, বাড়ি থেকে বের হওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে দুর্ঘটনার খবর আসে। কোথায় কী কারণে যাচ্ছিল আমরা কিছুই জানতাম না।